মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৩ মার্চ, ২০১৯

ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনা

শশির স্মৃতি ধরে রাখতে হচ্ছে মসজিদ ও মাদ্রাসা

নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মানিকগঞ্জের তাহিরা তানভিন শশির বাবা মা এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। একমাত্র কন্যাসন্তানকে হারিয়ে মা-বাবার প্রতিটি দিন কাটে চোখের জলে। নিহত শশির স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ বাড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদ ও মাদ্রাসা। এদিকে সেই বিমান দুর্ঘটনায় আহত শশির স্বামী ডা. রেজাউনুল হক বিদেশ থেকে উন্নত চিকিৎসা শেষে চোখে মুখে ক্ষত নিয়ে বাড়িতে ফিরলেও দুর্ঘটনার সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকায় তাহিরা তানভিন শশির নিজ বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলা বাড়ির শশির রুমের এক কোণে বসে চোখে পানি নিয়ে তজবি গুনছেন মা কামরুন নাহার বেলি। আর ঘরের অন্য কোণের শোফায় আনমনে বসে রয়েছেন বাবা ডা. রেজা মোহাম্মদ জামান। বিছানায় পড়ে আছে শশির স্মৃতির অ্যালবাম আর পুরো খাটে হাঁটাহাঁটি করছে শশির পালন করা আদরের কাকাতোয়া পাখিটি। এ সময় মেয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন মা কামরুন নাহার বেলি।

তিনি জানান, একমাত্র কন্যা শশির স্মৃতি ধরে রাখতে পরিবারের উদ্যোগে নিজ বাড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদ ও মাদ্রাসা। শশির বাবা ডা. রেজা জামান জানালেন, এখানে নিয়মিত নামাজ আদায়, কোরআন শিক্ষা ও হাফেজ তৈরি করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি নিয়ে মাস্টার্স করা তাহিরা তানভিন শশির ২০১১ সালে চাচাতো ভাই শাওনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ১৭ মার্চ ওই দম্পতির বিবাহবার্ষিকী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close