নওগাঁ প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯

কৃষকপর্যায়ে বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি

খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক পর্যায়ে ধান কেনার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার ধান-চালের দাম বেঁধে দিয়েছে। মিলাররা যদি সরকারি দরে ধান কেনে এবং গুদামে চাল সরবরাহ করে তাহলে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এতে ভোক্তাদেরও সমস্যা হবে না। গতকাল শুক্রবার নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নজিপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশে খাদ্যশস্য রাখার জন্য যে পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন, তা নেই। বর্তমানে প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার জায়গা আছে। এটা বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব না। ধান থেকে চাল করতে যে খরচ হয় এতে চালের দাম বেড়ে যায়। যার কারণে সরকার ধান-চালের দাম বেঁধে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সাপাহার-পোরশা ও নিয়ামতপুর বরেন্দ্র এলাকা। এসব এলাকায় গত কয়েক বছর থেকে আমের ব্যাপক ফলন হচ্ছে। আম থেকে জুস তৈরির কোনো উদ্যোক্তা যদি থাকে, তাহলে আমরা সরকারিভাবে যতটুকু প্রয়োজন তাকে সহযোগিতা করব। ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি করতে আমরা কাজ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম আরমান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিভাষ মজুমদার গোপাল, পতœীতলা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার, নজিপুর পৌরসভা মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, পোরশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা আ’লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। পরে খাদ্যগুদাম চত্বরে একটি আমগাছের চারা রোপণ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

বিকেলে খাদ্যমন্ত্রী পোরশা উপজেলার নিতপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন এবং সরাইগাছীতে আওয়ামী লীগের সংবর্ধনায় যোগ দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close