reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৩ জানুয়ারি, ২০২২

করোনার ৭০ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমাবে 'মোনোক্লোনাল' ইনজেকশন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চিকিৎসায় একটি কার্যকর ওষুধের ওপর চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরতে বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার ওষুধ মোনোক্লোনাল এন্টিবডি ড্রাগ সম্পর্কে সেমিনারটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

সুইজারল্যান্ডের এফ হফমান-লা রোচে লিমিটেড নামক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি মোনোক্লোনাল এন্টিবডি ইনজেকশনটি তৈরি করেছে। সম্প্রতি কভিড-১৯ চিকিৎসায় ইনজেকশনটি বাংলাদেশ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

জানা যায়, দুটি মোনোক্লোনাল এন্টিবডি কাসিরিভিমাব ও ইমডেভিমাব-এর সমন্বয়ে ইনজেকশনটি তৈরি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস চিকিৎসায় একটি কার্যকর ওষুধের ওপর সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরার এ সেমিনারে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ অ্যান্ড ইন্টারনাল মেডিসিন’র কনসালট্যান্ট ড. রায়হান রব্বানি ওষুধটি সম্পর্কে প্রায়োগিক অভিজ্ঞতার তথ্য তুলে ধরেন।

সেমিনারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) ড. মো. রোবেদ আমিন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (এনেথেসিয়া) ড. শ্যামল প্রসাদও ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তাদের মতামত জানান।

ড. শ্যামল প্রসাদ মোনোক্লোনাল এন্টিবডি ইনজেকশন দিয়ে ভালো সাড়া পাওয়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

এসময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ড. আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীও ওষুধটি ব্যবহারে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

আলোচকরা বলেন, কাসিরিভিমাব ও ইমডেভিমাব নামের দুটি মোনোক্লোনাল এন্টিবডি করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে অসাড় করে দেয় এবং ভাইরাসটির কার্যক্ষমতা স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে দেহে নতুন করে আরো ভাইরাস তৈরি হতে এবং ফুসফুসে ছড়াতে পারে না। ৩-৫ দিনের মধ্যে মোনোক্লোনাল এন্টিবডি ওষুধটি কভিড-১৯’র লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আর ছড়াতে দেয় না। ইনজেকশনটির মাধ্যমে মৃত্যুঝুঁকি কমে যাবে ৭০ শতাংশ।

বিশেষ করে করোনার টিকা নেওয়ার পরও যারা গুরুতর অসুস্থতার কারণে অধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের জন্য ইনজেকশনটি খুবই কার্যকর বলে জানা যায়।

দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ১৬ শতাংশ মানুষ কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে কাসিরিভিমাব ও ইমডেভিমাব ইনজেকশনটি যথেষ্ট কার্যকর।

কভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধটির সার্বিক অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও জাপান।

এছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে ওষুধটি বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি কাসিরিভিমাব ও ইমডেভিমাব ইনজেকশনটি বাংলাদেশে আমদানি করে সেমিনারটির আয়োজন করে। কোম্পানিটি জানায়, ওষুধটি আমদানির সময় তারা প্রয়োজনীয় কোল্ড চেইন প্রসেস অনুসরণ করে এবং বাংলাদেশে যেসব রোগীর চিকিৎসাপত্রে ওষুধটি দেওয়া হয় রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি ইনজেকশনটি সরাসরি তাদের হাতে পৌঁছে দেয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
করোনাভাইরাস,ওমিক্রন,ইনজেকশন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close