সংসদ প্রতিবেদক

  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৫ বছরের মধ্যে এমআরপি ই-পাসপোর্টে রূপান্তর হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সকল এমআরপিকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি আরও জানান, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং ই-পাসপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভ্রমণ দলিল। বাংলাদেশ বিশ্বে ১১৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে।

সোমবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরপর্বে এ কথা জানান তিনি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও মন্ত্রী জানান, এমআরপি এবং ই-পাসপোর্ট যুগপৎভাবে চলমান থাকবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার তিনটি অফিস; ঢাকাস্থ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, উত্তরার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং যাত্রাবাড়ীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ১৮ মাসের মধ্যে সকল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসমূহে ই-পাসপোর্ট চালু করা হবে।

সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশের কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। বর্তমানে কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪ জন। কারাবন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন। কারাগারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সরকার নবনির্মিত ৫টি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারকে কারাগার-২ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরাতন কারাগার সম্প্রসারণ/নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গীবাদের ধরণ ও কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। জঙ্গী গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়োপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় ধরণের নাশকতা ছাড়াই তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভয়ঙ্কর ইয়াবার থাবা সর্বাত্মক প্রতিরোধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিয়ানমারের ইয়াবা পাচারকারীরা বাংলাদেশকে একটি রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আগামী ১৩ মার্চ মিয়ানমারের কাছে চতুর্থ বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে ভয়ঙ্কর ইয়াবার থাবা থেকে রক্ষা পেতে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে এবং কেউ-ই যাতে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ই-পাসপোর্ট,এমআরপি,সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close