উৎসবের লক্ষ্য হোক কল্যাণ : রাষ্ট্রপতি
ধর্মীয় উৎসবগুলোকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর আবেদন কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির এ আহ্বান আসে।
আবদুল হামিদ বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। তাই শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার ও কুসংস্কার দূর করতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। জন্মাষ্টমী উৎসবকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা ও আনন্দোৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর আবেদনকে একটি কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি মানবিক সমাজ গঠনে পারস্পরিক সদ্ভাব ও শ্রদ্ধাবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সকল ধর্মেই পারিবারিক বন্ধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পারিবারিক কাঠামোর বিবর্তন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে মানুষের কর্মব্যস্ততা বাড়ছে। এতে পারিবারিক বন্ধন ক্রমান্বয়ে শিথিল হয়ে আসছে এবং ঘটছে নানা সহিংস ঘটনা। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই আমাদের সুমহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সকল ধর্মাবলম্বীর প্রতি আহ্বান জানাই।
পিডিএসও/হেলাল