ড. শামীম আহমেদ

  ১২ অক্টোবর, ২০২২

বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য যেন জাতির পিতার কৃষি দর্শন

করোনার ভয়াবহতা, বিশ্ব অস্তিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে “কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন” যার ইংরেজি পারিভাষিক অর্থ দাড়ায় “Leave no one behind, Better production, better nutrition, a better environment and a better life.”।

গত বছরটি ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর বছর। স্বাধীন হবার পর পর এক তীব্র সংকটপূর্ণ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তৎকালীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করেছিল বলতে গেলে প্রায় শূন্য থেকে। কিন্ত যুদ্ধবিদ্ধস্ত সেই বাংলাদেশ গড়ার মূল ভূমিকায় অবতির্ণ হন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন কৃষি ও কৃষকের জন্য অন্তপ্রাণ মহাকাব্যের এক মহাপুরুষ। সুখি, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর এক উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নদ্রষ্ট ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের মূল দর্শন থেকে তিনি উপলব্ধি করেন, সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশ পুনর্গঠন করতে হলে সার্বিক উন্নয়নে কৃষির উন্নতির কোনো বিকল্প নেই। কৃষি বিপ্লব তথা সবুজ বিপ্লবের যাত্রা শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর শানিত হাত ধরে। সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সবার আগে দরকার আমাদের টোটাল জরিপ। জরিপ ছাড়া কোনো পরিকল্পনাই সফল হবে না। সেজন্য সব কাজ করার আগে আমাদের সুষ্ঠু জরিপ করতে হবে। ১৯৭২-৭৩ সালে ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ছিল। তার মধ্যে ১০১ কোটি টাকা শুধু কৃষি উন্নয়নের জন্য রাখা হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণে কৃষিবিজ্ঞান, গবেষণা, সম্প্রসারণ, শিল্প ও বাজার উন্নয়নে বিশেষ জোর দেন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষি পেশায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রথমশ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদান করেন। আজ স্বাধীনতার ৫১ বছর পর যখন বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্যের দিকে নজর দিতেই আমি হতবাক হলোম। কি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহান এক মানুষ ছিলেন তিনি। ৫১ বছর আগের সেই দর্শনই যেন প্রতিফলিত হচ্ছে আজকের এই প্রতিপাদ্যে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের কৃষির আধুনিকায়নের সূত্রপাত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল।

জাতির পিতার দর্শনকে অন্তরে ধারণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। কৃষির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। সাড়া বিশ্ব যেখানে এক বৈরি মন্দাকাল অতিক্রম করছে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেত্রিত্ব ও কৃষি মন্ত্রীর সুদক্ষ নীতি আচারের ফলে আজকের দিনে সারের মজুত রয়েছে ইউরিয়া-৬ লাখ ৫৬ হাজার টন, টিএসটি-৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি-৮ লাখ ২৩ হাজার টন ও এমওপি-২ লাখ ৭৩ হাজার টন। এই মজুত নির্দেশ করে আসন্ন বোরো মৌসুমে বাংলাদেশের প্রধান শস্য ধান বা চালের কোন ঘাটতি হবে না ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ বিস্তৃত করার পাশাপাশি কৃষকদের ঋণ সুবিধা প্রদান, নগদ আর্থিক ও উপকরণ সহযোগিতা প্রদান, নিত্যনতুন উপযুক্ত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষির অব্যাহত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে পাট রপ্তানিতে প্রথম, পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এক ইঞ্চি কৃষি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মহোদয়ের নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে ইউনিয়ন পর্যায়ে সবজি বাগান সৃজনসহ সমলয়ে চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে সাফল্য এসেছে এবং আমদানি নির্ভরতা অনেক কমে এসেছে। দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ তেল উৎপাদন করা হবে । ২০৫০ সালে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ডাবলিং রাইস প্রোডাক্টিভিটি-ডিআরপি মডেল গ্রহণ করা হয়েছে। এক সময় পাটই ছিল মূলত রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য। বর্তমানে পাট ছাড়াও ৭০টিরও বেশি সবজি ও ফল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আমরা ছাড়িয়ে গেছি ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মাইলফলক। বাংলাদেশের সুস্বাদু আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব বাজারে স্থান করে নিয়েছে। নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনসহ রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আজ ক্রমেই উপরে উঠছে এবং উন্নয়নের এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।

২০২১-২২ অর্থ বছরে ১২০.৩৩ লক্ষ হেক্টর জমির আবাদ লক্ষমাত্রাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ধানের উৎপাদন চাহিদা ছিলো ৩৯৮.৮১ লক্ষ মে. টন, সেখানে আমরা এখন পর্যন্ত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি ৪০৪.৯১ লক্ষ মে. টন। এবছর জাতীয় গড় ফলন পাওয়া গেছে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩.২৮ মেট্রিক টন। গত বছর দেশে বোরো ধানের জাতীয় গড় ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ৩.২১ মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রতি হেক্টরে উৎপাদন বেড়েছে এবছর ০.০৭ মেট্রিক টন। গত বছর বোরো ধান উৎপাদনে দেশ নতুন রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছিল। এই উদ্বৃত খাদ্য শস্যের ধারাবাহিক সফলতার কারণেই গত বছর আমাদের ১৯.৩ লক্ষ টন ধারণ ক্ষমতার মধ্যে ১২.৬৫ লক্ষ টন মজুত করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ সালের হিসাব মতে মোট ৭ ল্খা ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফলের আবাদ হয়েছিল, যার মধ্যে প্রধান ফল হিসেবে আম আবাদের জমি ছিলো প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার হেক্টর আর উৎপাদন ছিলো ২২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন, কাঠাঁল আবাদ হয়েছিলো ৭১ হাজার ছয়শত হেক্টর জমিতে যার ফলন ছিলো ১৮ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন, আর লিচু ছিলো ৩১ হাজার চারশত এর মতো, যার ফলন ছিলো ২ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন। । র্সবশষে হসিাব মতে ২০১৯-২০ সালে সেই লক্ষমাত্রা বেড়ে প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে এবং প্রত্যাশিত উৎপাদন ২২ লক্ষ ৩২ হাজার মে.টন। কৃষি নির্ভর এই বাংলাদেশ যেন করোনাকালীন সময়ে কোনরূপ খাদ্য সংকটে না পড়ে তার পূর্ণ প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী এবার ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৯.০৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে ১৬৩.৪৫ লক্ষ মে.টন, আউশ ১৩.০৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৩৬.৯ লক্ষ মে.টন, যার প্রায় পুরোটাই র্অজন সম্ভব হয়েছে বর্তমান সফল কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে।

কৃষি প্রণোদনার ক্ষেত্রে অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এবার সরকারের ভুমিকা ছিলো উল্লেখ করার মতো। করোনা কালে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের আস্থা ধরে রাখতে এই প্রণোদনা প্রাণের শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করেছে। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরের ২৭ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে রবি/২০২০-২১ মৌসুমে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মগ, পেঁয়াজ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ সহায়তা প্রদান বাবদ কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৮৬৪৩.০০ লক্ষ (৮৬ কোটি ৪৩ লক্ষ ৩০ হাজার) টাকার অর্থ ছাড় করা হয়। এই অর্থ দেশের ৬৪ টি জেলায় ৮ লক্ষ উপকারভোগীর মাঝে উল্লেখিত ৯টি ফসল চাষের জন্য সহায়তা বিতরন করা হয়। ফসলভেদে বিভিন্ন পরিমানে বীজ সহায়তা, ডিএপি ও এমওপি সার সহায়তা এই করোনা কালে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাঠ পযায়ের কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি কৃষকের মাঝে পৌছে দেন। পরবর্তিতে একই ভাবে এই প্রণোদনা ১৭ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ রবি মৌসুমে বোরো ধানের হাইব্রিড জাতের বীজ ব্যবহারকারীদের মাঝে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চৌদ্দ লক্ষ সাতানব্বই হাজার কৃষকের মাঝে ৭৬ কোটি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৭ শত ৬০ টাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ রবি মৌসুমে পেঁয়াজ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে পঞ্চাশ হাজার কৃষকের মাঝে ২৫ কোটি ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ২৫ মার্চ, ২০২১ তারিখ খরিট-১ মৌসুমে আউশ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কৃষকের মাঝে ৩৯ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সার ও বীজ সহায়তা বিতরণ করা হয়।

এসব উদ্যোগের ফলে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। হাইব্রিড ধানের আবাদ এবার বেড়েছে তিন লাখ হেক্টর। প্রতি হেক্টরে হাইব্রিডের উৎপাদন প্রায় পাঁচ টন করে হয়। ফলে তিন লাখ হেক্টরে প্রায় ১৫ লাখ টন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। কৃষিবান্ধব এই সরকার বরাবরই মনে করেন, যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলায় কৃষি হবে প্রধান রক্ষাকবোজ হাতিয়ার। সেই লক্ষে বিবেচনা করে দেখলে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্যের অগ্রযাত্রা বাংলাদেশ অনেক আগেই শুরু করেছিলো জাতির পিতার হাত ধরে। জাতির পিতা যেমন ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করতেন, তেমনি এবারের প্রতিপাদ্যতেও বলা হয়েছে। “কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন”| আর বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের উল্লেখিত চিত্রই বলে দেয় প্রতিপাদ্যের বাকি অংশটুকু সফল করতে আমরা কতটা সফল।

‘কৃষিতেই হবে সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রোদ্ধা জানানোর জন্য এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

লেখক : উপপরিচালক (গণযোগাযোগ), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ী, ঢাকা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মুক্তমত,বিশ্ব খাদ্য দিবস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close