রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক ও চালকসহ ৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস জাবালে নূরের ২ মালিক, ২ চালক ও ২ সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১ নভেম্বর তারিখ দিন ধার্য করেন।

৬ আসামির মধ্যে অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জাবালে নূরের একটি বাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, তার হেলপার মো. এনায়েত হোসেন এবং আরেক বাসের চালক মো. জোবায়ের সুমন। অপর বাসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজীকে পলাতক দেখিয়ে মামলার বিচার শুরু হচ্ছে।

কাঠগড়ায় উপস্থিত ৪ আসামি অভিযোগ গঠনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান। তাদের পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। কিন্তু বিচারক তা নাকচ করে দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূরের দু'টি বাস পাল্লা দিতে গেলে একটি এমইএস বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো একদল শিক্ষার্থীর উপরে উঠে যায়। এতে দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম নিহত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার সড়ক এক সপ্তাহ কার্যত অচল থাকে। সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঘটনার দিন নিহত মিমের বাবা বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবির পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী ও ৬ ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একজন বিচারক তা বিচারের জন্য জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন।

অন্যদিকে এ দুর্ঘটনার পর মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের ৩ বাসের ৩ চালক এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের একটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেফতারের খবর জানানো হয়। গ্রেফতার হওয়া ৬ জনকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পিডিএসও/তাজ