reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ওষুধ উৎপাদনে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করল ভারত

ভারতে তৈরি কফ সিরাপ সেবনে গাম্বিয়া, উসবেকিস্তান ও ক্যামেরুনসহ কয়েকটি দেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর নতুন বছরের জন্য ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে ওষুধ উৎপাদনে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন ওই মানদণ্ড অবশ্যই পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে। যদিও ঋণ রয়েছে অজুহাতে ছোট ছোট কোম্পানিগুলো এখনই তাদের ওপর ওই মানদণ্ড অনুসরণের বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

গত বছর প্রায় পুরোটা জুড়েই ভারতের তৈরি কফ সিরাপ সেবনে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হইচই হয়েছে।

বিশ্বের বৃহৎ ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিশ্বজুড়ে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের জোগান দেওয়ার কারণে ভারতকে ‘বিশ্ব ফার্মাসি’ বলা হয়। নিজেদের এই ইমেজ এবং ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই শিল্পকে রক্ষা করতে তাই ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার।

শনিবার প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বরের তারিখ দেওয়া ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রস্তুতকারকদের অবশ্যই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলোর গুণমানের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের প্রস্তুত করা ওষুধ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত, সেগুলো প্রয়োজনীয় মানদণ্ড অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো গুণমান বা কার্যকারিতার কারণে রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে না।’

এ ছাড়া ওষুধ তৈরির উপাদানগুলোর মান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ‘সন্তোষজনক ফলাফল’ পাওয়ার পরই কেবল কোম্পানিগুলো তাদের চূড়ান্ত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। পণ্য তৈরির মধ্যবর্তী ও চূড়ান্ত পর্যায়ে পণ্যগুলোর নমুনাও বারবার পরীক্ষা বা যাচাই করতে হবে।

গত আগস্টে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, তারা ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৬২টি ওষুধ কারখানা পরিদর্শন করেছে এবং দেখেছে, সেগুলোয় ‘ওষুধ তৈরির জন্য আসা কাঁচামালের মান যাচাই পরীক্ষার প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেই’।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ওষুধ উৎপাদন,ভারত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close