বিনোদন প্রতিবেদক

  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সময় বেড়েছে জাতীয় পিঠা উৎসবের, ১১তম দিনেও উপচে পড়া ভিড়

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০-এর সময় বেড়েছে আরও ৪ দিন। দর্শক চাহিদা ও পিঠা প্রেমীদের অনুরোধে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে এই উৎসবের।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে মনোজ্ঞ লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের সমাপনী দিনে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পুরস্কার ও সাটিফিকেট প্রদান করা হবে পিঠাশিল্পীদের।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় জাতীয় পিঠা উৎসব। দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে উদ্বোধনের মাধ্যমে চলমান এ মেলায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে রাজধানী এবং জেলাগুলোতে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা এবং জেলা উপজেলা থেকে আগত পিঠা শিল্পীরাও এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিন বাহারি স্বাদের পিঠা আর লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শনার্থীরা। একদিকে জাতীয় চিত্রশালার সামনে নাগরদোলায় শিশুদের বিনোদনের উপকরণ অন্যদিকে বড়দের জন্য লোকসাংস্কৃতিক পরিবেশনা, সবমিলিয়ে যেন গ্রামীণ মেলা বসেছে এখানে। হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে কর্মজীবী নগরবাসী পরিবার নিয়ে উপভোগ করছেন পিঠা উৎসব।

এবারের উৎসবে অবাণিজ্যিক মূল পিঠাশিল্পীদের তুলে আনতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। পুরো একাডেমি প্রাঙ্গণে বসেছে ৫০টি স্টল। এর মধ্যে বিনামূল্যে ৩০টি স্টল দেওয়া হয়েছে ১৮০ জন পিঠা শিল্পীকে। যাদের বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩/৪ দিন মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তারা নির্ধারিত ৪ দিনের বেশি স্টলে অংশ নিতে পারছেন না। মূলত পিঠাশিল্পীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত এসব পিঠা শিল্পীদের বিনামূল্যে স্টলে পিঠা তৈরি ও বিক্রির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যারা বাণিজ্যিক নন, কেবল পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে পিঠা তৈরি করেন, তাদের মাধ্যমে আদি ও ঐতিহ্য পরম্পরার পিঠার ভিন্নতা তুলে ধরতেই প্রথমবারের মতো এই আয়োজনের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

১১তম দিনে উপচে পড়া ভিড়; লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শকরা:

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দুপুর থেকেই জমে ওঠে জাতীয় পিঠা উৎসব। বিকেলে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখতে ভিড় জমতে থাকে একাডেমি প্রাঙ্গনে। স্টলে স্টলে বাহারি স্বাদের পিঠার পাশাপাশি লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন দর্শকরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুদল পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য ‘আমার ঘর খানায় কে বিরাজ করে’ এবং ‘সোনা বন্দে আমারে দিওয়ানা বানাইলো’। এরপর সমবেত নৃত্য ‘বাজা খঞ্জনি’ পরিবেশন করে স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্র, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক মৈত্রী সরকার। এরপর আবার সমবেত নৃত্য ‘কনক চাপা’ পরিবেশন করে নান্দনিক নৃত্য সংগঠন ধান; নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক নিলুফার ওয়াহিদ। কবি সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘পরানের গহীন ভিতর-১ ও ২৯’ আবৃত্তি করেন গোলাম সারোয়ার। সুতপা রহমান (শিশু) পরিবেশন করে একক সংগীত ‘ও ধান ভানিরে’; আসাদ বাবু আসাদ বাবু পরিবেশন করেন স্বরচিত সংগীত ‘ওকি ও মাইয়োর মাও’।

এরপর সমবেত সংগীত পরিবেশন করে স্বর্ণা সংগীত দল। এরপর আবার সমবেত নৃত্য চাঁদ ‘উঠেছে ওই’ পরিবেশন করে শিখর কালচারাল অর্গানাইজেশনের নৃত্য দল, নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক সোহেল রহমান। এরপর সমবেত নৃত্য চাঁদ ‘চান্দের আলো’ পরিবেশন করে স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্র নৃত্য দল, নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক মৈত্রী সরকার।

একক সংগীত পরিবেশন করেন মুহাম্মদ আনিসুর রহমান। এরপর একক সংগীত ‘ওরে চিকন কালা’ পরিবেশন করেন মিতু আশরাফীর এবং ‘ওকি পতিধন প্রাণ বাঁচে না’ একক সংগীত পরিবেশন করেন শ্যামল পাল। এরপর আবার সমবেত নৃত্য ‘আজ দুয়ারে’ পরিবেশন করে নান্দনিক নৃত্য সংগঠন, নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক নিলুফার ওয়াহিদ।

এরপর কবি শাশ্বতী বিপ্লব এর কবিতা ‘হিস্যা’ পরিবেশন করেন শিরিন ইসলাম। এরপর একক সংগীত ‘আমি কুলহারা কলঙ্কিনী’ পরিবেশন করেন ইভা (শিশু)। আবার একক আবৃত্তি করেন সাব্বির জামান। এরপর একক সংগীত ‘ও মুই না শুনুং’ পরিবেশন করেন রহিমা বেগম। টুনটুন ফরিক পরিবেশন করেন লালন সংগীত। সবশেষ পরিবেশিত হয় ‘বিহুরে লগন’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিখর কালচারাল অর্গানাইজেশনের নৃত্য দল, নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক সোহেল রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দিলরুবা সাথী এবং আব্দুল্লাহ বিপ্লব।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভিড়,জাতীয় পিঠা উৎসব,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close