মৃত্যুর সময় মানুষ কী দেখতে পায়?
সেই আদিকাল থেকে মানুষের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের যেন শেষ নেই। কী হয় মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে, কেমন হয় মৃত্যুপথযাত্রীর অনুভূতি, আদৌ তাদের সামনে স্বর্গ-নরকের কোনো দৃশ্য ভেসে ওঠে কী-এমন নানা প্রশ্ন আছে মানুষের মনে, যার জবাব মেলেনি কোনোদিন। তবু মানুষ ভাবে, কারণ মৃত্যু নিয়ে মানুষের রয়েছে অদম্য কৌতূহল।
সম্প্রতি নিকি মরগান নামে এক সেবিকা (নার্স) মৃত্যুর আগ মুহূর্তে মানুষ আসলে কী বলে বা করে, সে সম্পর্কে নিজের সারা জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। নিকি দীর্ঘদিন ব্রিটেনের রয়্যাল স্টোক বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কাজ করেছেন। পেশাগত কারণেই মৃত্যুর আগ মুহূর্তে মানুষের অভিব্যক্তি বা বাক্যালাপ তিনি নিজের চোখের সামনে দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি দাবি করেছেন-অনেক রোগীই নাকি মৃত্যুর আগ মুহূর্তে স্বর্গ অথবা নরকের দৃশ্য দেখতে পান।
উদাহরণ দিতে গিয়ে নিকি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে এক ব্যক্তি প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। সে সময় তিনি বলেন, মরতে তার একটুও ভয় লাগছে না। কারণ, চোখের সামনে তিনি স্বর্গ দেখতে পাচ্ছেন।’ তার পেশাজীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে বলে জানান নিকি।
এ ছাড়া মৃত্যুর আগে অনেকেই টের পান তার জীবন শেষ হতে চলেছে। কেউ মৃত্যুর আগাম খবর অনেক আগেই পেয়ে যান। কেউ পান কয়েক মাস কিংবা কয়েক ঘণ্টা আগে। নিকি বলেন, এক রোগী মৃত্যুর কিছুদিন আগে জানান, কিছুদিন পরেই জীবনের ৮০তম বছরে পা দেবেন তিনি। বলেন, ‘আমি জন্মদিনের উৎসব করব। তারপরই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব।’ বাস্তবেও ঘটেছিল এমনটাই।
নিকি জানান, মৃত্যুর আগে অনেক রোগীই তার প্রিয় খাবার খেতে চান। দেখা করতে চান পরিবারের প্রিয় মানুষের সঙ্গে। অনেকেই শেষ সময় কাটাতে চান পোষা প্রাণীর সঙ্গে।
এমন এক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিকি এক বৃদ্ধ দম্পতির ঘটনা বলেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর কিছুদিন আগে এক রোগী তার বৃদ্ধ স্ত্রীকে পাশে চান। আবদার মেটাতে বিছানার পাশে তার স্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ওই দম্পতি হাত ধরে একসঙ্গে গান গাইতেন। এর ১০ দিনের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই মৃত্যু হয়।
পিডিএসও/তাজ