reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২১ জুলাই, ২০১৮

পর পর ৬টি মৃত বাচ্চা জন্ম দিলেন তিনি

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় মৌসুমী আকতার নামে এক গৃহবধূ ছয়টি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে একটি ও শনিবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পর পর পাঁচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি।

জানা গেছে, নওগাঁয় কোনো গৃহবধূর একসঙ্গে ছয়টি মৃত বাচ্চা প্রসবের এটাই প্রথম ঘটনা। এ কারণে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় করেন।নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম জানান, গর্ভবতী হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব হতে ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু এই প্রসূতির ক্ষেত্রে স্পন্টানিয়াস অ্যাবরশন (আপনা-আপনি গর্ভপাত) হয়েছে। যার কারণে মাত্র ১৬ সপ্তাহে ছয়টি মৃত বাচ্চা প্রসব করেছেন ওই নারী। মৃত বাচ্চাগুলো ছেলে সন্তান ছিলে বলেও জানান তিনি।

মৌসুমীর স্বামী শেখ রানা জানান, ২০১০ সালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভরোট্র কাঠেরডাঙ্গা গ্রামের ফজের আলীর মেয়ে মৌসুমীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘ আট বছর ধরে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। গত এপ্রিল মাসে তার স্ত্রীর পেটে সন্তান আসে। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে নওগাঁর একটি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে আলট্রাসোনোগ্রাম করার পর জানতে পারেন তার স্ত্রীর পেটে ছয়টি সন্তান রয়েছে। এর পর থেকে গাইনি ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তার স্ত্রী।

শেখ রানা আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাসায় একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ সময় মৌসুমীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে আরও পাঁচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন মৌসুমী। তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

ডা. রওশন আরা খানম জানান, বর্তমানে প্রসূতি মৌসুমী সুস্থ্য আছে। একের অধিক বাচ্চা গর্ভে থাকলে প্রসূতিকে স্পেশাল কেয়ার নিতে হয়। আর মৌসুমীর ক্ষেত্রে ছয়টি বাচ্চা গর্ভে থাকায় সে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ কারণেই আগেই তার গর্ভপাত হয়েছে।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পর পর,মৃত বাচ্চা,জন্ম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist