নিজস্ব প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি বললেন
মৎস্য খাত রক্ষায় নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য খাতের ক্ষতি রোধে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ পালন উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকাল সংবাদপত্রের পাতায় প্রায়ই মৎস্যখাদ্য উৎপাদনে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করার খবর দেখা যায়। অধিক মুনাফার লোভে কেউ যেন এই সম্ভাবনাময় খাতটির ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য অবশ্যই কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। মাছের উৎপাদন বাড়াতে এবং জলাশয়ের যথাযথ ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, স্থানীয় জাতের মাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু মাছ বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সুতরাং জীববৈচিত্র্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় জাতের মাছের চাষ এবং তা সংরক্ষণে জনগণকে উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আমিষের চাহিদা পূরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে মৎস্য খাতের ভূমিকার কথা উল্লেখ কওে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১১ শতাংশ লোক জীবন ধারণের জন্য এই খাতের ওপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মৎস্য উৎপাদন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনিই ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে মিঠা পানির মাছ চাষ করে বিশ্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি এজন্য মৎস্য উৎপাদনকারী, বিজ্ঞানী এবং গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি পরে বঙ্গভবনের ডানাদীঘি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সচিব এম মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
"