reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩১ মে, ২০২০

কোভিড-১৯ এর পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং বিসিএসআইআরের

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যানের মো. ফারুক আহমেদের সার্বিক নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে বিসিএসআইআরের জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে তিনটি কোভিড-১৯ কেসের সম্পূর্ণ সিকোয়েন্সিং সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যাদি গ্লোবাল ডেটা ব্যাংক, গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) তে উপস্থাপন করা হয়েছে; যা ওই সংস্থা কর্তৃক গৃহীত ও প্রকাশিত হয়েছে। ডেটা অ্যানালাইসিসে দেখা গেছে, অ্যামাইনো অ্যাসিড লেভেলে মোট ৯টি ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যায়। সিকোয়েন্সিং করার জন্য নমূনা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ সরকারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার। প্রাপ্ত নমুনা হতে এ ফলাফল পাওয়া যায়।

গবেষক দলের দলনেতা ড. মো. সেলিম খান, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার এবং প্রকল্প পরিচালক বলেন, অ্যানালাইসিসে বাংলাদেশের এই ভাইরাসটির সঙ্গে সব চাইতে বেশি মিল (৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ) পাওয়া যায় ইউরোপিয়ান উৎস বিশেষ করে সুইডেনের সঙ্গে। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বিসিএসআইআরের তিনটিসহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বমোট ২৩টি পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিং ডেটা থেকে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মোটেই যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ও সিনিয়ির সচিব বাংলাদেশের সম্ভাব্য সব এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআরের জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং সে নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিএসআইআরের জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারসহ ডিআরআইসিএমে কাজটি করে যাচ্ছে। এই কাজটি সম্পন্ন করা হলে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিত্তির ওপর গবেষণাটি প্রতিষ্ঠিত হবে, ফলে নভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসের প্রতিষেধক, ওষুধ ও ভ্যাকসিং আবিষ্কারে সহায়তা করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close