সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছেলের কোদালের কোপে প্রাণ হারালেন বাবা। এ সময় ছেলেকে থামাতে গিয়ে রেহাই পাননি মা। তাকেও কুপিয়েছে সে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউপির সুনামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনাই (৭০)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে ঘাতক ছেলে রাহেল আহমদ (৩৫) গাছ কাটতে গেলে তাকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন বাবা। এ সময় তাদের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। পরে রাতে এ নিয়ে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে চা খাওয়ার পর বাবাকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি জমিতে যায় রাহেল। এ সময় আবারও বাবার সঙ্গে বাগ্বিত-ায় লিপ্ত হয় সে। এক পর্যায়ে বাবার প্রতি প্রচ- রেগে গিয়ে রাহেলের হাতে থাকা কোদাল দিয়ে কোপাতে থাকে। চিৎকার শুনে মা মিনারা বেগম (৫০) এগিয়ে আসলে তাকেও কোপাতে কার্পণ্য করেনি সে। কোদালের উপর্যুপরি কোপে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে রাহেলের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠাকুর মনাইকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মিনারা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এদিকে, মা-বাবাকে কোপানোর পর গ্রামের মানুষের ধাওয়া খেয়ে সে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

খবর পেয়েই গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে ঘাতক ছেলেকে আটক করতে পুলিশ তার শ্বশুরবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান করেছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"