পর্যটন শহর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো ‘সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল শুক্রবার লাবনী পয়েন্টে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে সৈকতের সুগন্ধা এলাকা থেকে লাবনী পয়েন্টের অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত বর্ণিল শোভাযাত্রা হয়। জেলা প্রশাসকের উন্মুক্ত মঞ্চে উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আদিবুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিশু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সুদিপ্তা চক্রবর্তী।

শিল্পকলা একাডেমি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে সংগীত, নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং পারফর্ম্যান্স আর্টসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ শতাধিক শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ ফুট দীর্ঘ প্রতিকৃতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাত দিনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতি বছর এ ধরনের উৎসব আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে উদ্বোধক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, প্রতি জেলা উপজেলায় বিস্তৃতি পরিসরে কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই আয়োজন। এছাড়া পর্যটন এলাকায় নিয়মিত এই ধরনের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্যটকদের সময়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে।

উৎসবের উদ্বোধনী দিনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিল বান্দরবানের ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সমবেত নৃত্য পানি তোল ও বোতল নৃত্য, বম সম্প্রদায়ের স্বাগত নৃত্য ও বাঁশ নৃত্য, মারমা সম্প্রদায়ের ময়ূর নৃত্য ও ছাতা নৃত্য; ম্রো সম্প্রদায়ের নববর্ষের নৃত্য ও যুগল নৃত্য, চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু নৃত্য ও জুম নৃত্য। একক সংগীত পরিবেশন করেন কক্সবাজারের শিল্পী মানষী বড়–য়া; শিল্পী মিনা মল্লিক; শিল্পী মেহরীন রাহাব্বাত ইফশিতা ও মো. জহিদ। সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিল্পীরা। সমবেদ নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা। এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাউল দল এবং অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

"