কলকাতা প্রতিনিধি

  ১৯ জুলাই, ২০১৯

স্ত্রীর পরকীয়ায় ক্ষুব্ধ স্বামী বিদ্যুতে জড়িয়ে মারলেন তিনজনকে

স্ত্রীর পরকীয়ার সুরাহা না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবেশীর দরজায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে তিনজনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন ছয়জন। এই ঘটনার হোতা রবিউল। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা রবিউল বোগা নোয়াপাড়ার ২১নং ওয়ার্ডে ভাড়া থাকতেন। তবে এই সর্বনাশা কাজ করে বাঁচতে পারেননি রবিউল। তিনি প্রথমে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান।

জানা গেছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি রবিউলের স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না। ওই এলাকার কোনো যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন রবিউল। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজও ছিল রবিউলের স্ত্রী।

জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে এলাকার প্রতিটি ঘরের দরজার সামনে বিদ্যুতের তার ফেলে রাখেন রবিউল, সেই তারে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেন। এরপর পরিকল্পনা মাফিক নিজের ঘরের বারান্দায় আগুন জ্বালিয়ে দেন রবিউল। অভিযোগ, নিজেই নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে চিৎকার করেন রবিউল। রবিউলের আর্তচিৎকার শোনামাত্রই তড়িঘড়ি প্রতিবেশীরা দরজা খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। দরজা খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করতেই দরজায় রবিউলের জড়ানো তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনজন। জখম হন আরো ছয়জন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালানোর চেষ্টা করে রবিউল। ট্রেন ধরতে আখড়া স্টেশনে যান। এদিকে খালি পায়ে রবিউলকে দৌড়াতে দেখে সন্দেহ হয় ওই এলাকার এক বিয়ে বাড়ির লোকজনের। তারাই ধরে ফেলেন রবিউলকে। বেধড়ক মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। গণধোলাইয়ের কারণে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রবিউলের।

গ্রামবাসীরা জানান, মারধরের সময় অপরাধের কথা স্বীকার করে রবিউল। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে সালিসিও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে কোনো চেষ্টাই করেনি প্রতিবেশীরা। এতে প্রতিবেশীরা তার স্ত্রীকে মদদ দিচ্ছে বলে সন্দেহ হয় রবিউলে।

আর সে কারণেই এই পরিকল্পনা করে রবিউল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close