অবশেষে শুরু হয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল। পর্যটন মৌসুমে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৪৪১ জন পর্যটক নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় টেকনাফে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া জাহাজঘাট থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ২৭৩ জন এবং বে-ক্রুস নামে দুটি জাহাজ ১৭০ যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের সমন্বয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, তিনটি জাহাজকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে আজ শনিবার থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজও চলাচল করবে।

কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, গত ৮ মে থেকে এই নৌপথে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সাগর শান্ত থাকায় আবারও পর্যটক পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকার কথা বলেছে। এ ছাড়া ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে হোটেল, কটেজসহ প্রতিটি আবাসিক ও খাবার হোটেলে মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভাটার সময় কোনো পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিন সৈকতের পানিতে না নামেন, সে ব্যাপারে প্রচারণা চালানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ বলেন, জাহাজ চলাচলের অনুমতি খবরে শ্রেণিপেশার মানুষ খুশি হয়েছে। সেন্টমার্টিনের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা পর্যটকনির্ভর।

"