নিজস্ব প্রতিবেদক
আত্মসমর্পণ না করেই
হুদার আবেদন সাড়া দেননি আপিল বিভাগ
হাইকোর্টের সাজার রায়ের পর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই সর্বোচ্চ আদালতে লিভ টু আপিলের অনুমতি চেয়ে বিফল হতে হলো সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে। গতকাল রোববার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ তার আবেদনটি ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করতে ব্যারিস্টার হুদা নিজেই আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
দুদকের আইনজীবী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এই মামলায় হাইকোর্ট গত নভেম্বরে নাজমুল হুদাকে চার বছরের কারাদন্ড দেন। সেই সঙ্গে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ না করেই লিভ টু আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘আদালত গত ২ জানুয়ারি বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ ছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আইন সমর্থন করে না। আজ আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এখন হাইকোর্টের রায় পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালের’ জন্য মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বিগত বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।
"