জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী
হাতিয়ার সব সড়ক খানাখন্দে সয়লাব
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার প্রায় সড়কগুলো যেন সড়ক নয়, হালচাষ করার ক্ষেত। বড় বড় খানাখন্দ ও ধুলা-বালিতে সয়লাব। তবু এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলছে শত শত ট্রাক-বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। দশ মিনিটের পথ পাড়ি দিচ্ছে এক-দুই ঘণ্টায়। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন অবস্থা। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
১৯৮৩ সালে হাতিয়া থানাকে উপজেলায় রূপান্তর হয়। স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালীর হাতিয়া বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলগুলোর মধ্যে উন্নতম একটি পর্যটন এলাকা। নিঝুম দ্বীপ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মায়াবি হরিণের ঝাক, গাছের পাথুরে শাখা, মেঘনা নদীসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক লীলাভূমি। সাবেক অনেক কথাসাহিত্যিকসহ অনেক গুণী মানুষের জন্ম এ অঞ্চলে। অথচ উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি।
তমরুদ্দি-সোনাদিয়া পিল্টনরোড পর্যন্ত সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিনিধি মো. আমির উদ্দিন মামুন। তিনি বলেন, দায়ে পড়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। এক দিন গেলে আরেক দিন যেতে ইচ্ছা করে না। ১০মিনিটের রাস্তা ১ ঘন্টা শেষ হয় না। মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, বর্তমানে আমাদের এলাকার মত এমন বেহাল রাস্তা মনে হয় আর কোথাও নেই। বর্ষায় কাঁদা, শুকনো মৌসুমে ধুলায় পরিপূর্ণ থাকে রাস্তাগুলো। ফলে বছরজুড়ে এ অঞ্চলের মানুষ এ রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে পড়ে। টমটম চালক মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫) বলেন, এত গর্ত যে টমটম গতি তুলা যায় না। এখন টমটমে আমরার খরচ বাইড়া গেছে। টমটম একটা গর্ত থাইক্যা উডাইতে যে সময় লাগে, এ গতিতেই প্রায় সারা রাস্তা যাইতে অয়।
সমাজসেবক ও সাবেক মেম্বার মোঃ ইফতেখার হোসেন স্বপন বলেন, এ রাস্তায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পড়েন রোগীরা। বিশেষ করে গভবর্তী নারীদের এ পথ দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়।
উপজেলা শহরের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী তপন চন্দ্র দেবনাথ। কিন্তু তমরুদ্দি থেকে সোনাদিয়া পিলন্ট রোড় পর্যন্ত সড়কটি এল জি ই ডির অন্ডারে না থাকায় বর্তমানে সড়কটি নিয়ে কোন কাজ করা সম্ভব না, নতুন করে রোড় ইনবেন্টরীর মাধ্যমে রোড়টি তালিকায় অন্তরভক্ত করা হবে বলে তিনি বলেন।
"