নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ জুন, ২০২০

এডিস মশা নির্মূল

ডিএনসিসিতে শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে এডিস মশা নির্মূলের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে আজ শনিবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান। সেই লক্ষ্যে নগরবাসীদের সবাইকে সচেতন থাকতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গত ১০ মে থেকে ডিএনসিসি কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ফের শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান। এর আগে গত বুধবার ডিএনসিসির প্রথম করপোরেশন সভায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবিলায় জোর দিয়ে বলেন, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া যেন গত বছরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে সেজন্য আমরা আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। কোথাও জমে থাকা পানি বা এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে, সেটি যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানও হয়, সেখানে আইন অনুযায়ী অর্থদন্ড বা কারাদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত করা হবে। ১৬ মে থেকে পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মী দ্বারা পাঁচটি ওয়ার্ডে ঈদের আগ পর্যন্ত চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। অন্তত আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে বিনামূল্যে ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১১ মে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য এরই মধ্যে দুটি অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার এডিস মশার লার্ভা পাওয়া সব বাড়ি বা স্থাপনার ছবিসহ তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যা পরে মনিটরিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সমগ্র ডিএনসিসিকে ৪০০ মিটার বাই ৪০০ মিটার গ্রিডে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রিডের বসবাসরত একজন গৃহিণীকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। একটি গ্রিডে কর্মরত মশককর্মীর কাজে ওই গ্রিডে বসবাসরত গৃহিণী সন্তুষ্ট কিনা ডিএনসিসির একটি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি তা প্রকাশ করবেন। তার সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করবে মশক নিধন কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি। ওই অ্যাপের মাধ্যমে মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো এলাকার মশক নিধন কার্যক্রমের কী অবস্থা তাৎক্ষণিক জানতে পারবেন। জনগণকে মশকনিধন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতেই এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close