নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ মার্চ, ২০১৯

যানজট কমাতে ঢাকা ঘিরে নান্দনিক সড়ক

যানজট কমাতে ঢাকার চারপাশে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ দশমিক ১৫ কিলোমিটার নান্দনিক সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হিসাবে প্রতি কিলোমিটার রাস্তায় ব্যয় হবে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে নানা ধরনের পরিবহন চালু এবং ঢাকার ভেতরের যানজট নিরসন হবে। জানা যায়, ‘ঢাকা ইনার সার্কুলার রুট ফেইজ-২’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দুই পাশের তীর ভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। সেখানে থাকবে বসার বেঞ্চ।

এছাড়া ইকোপার্ক নির্মাণ এবং বৃক্ষ রোপণও করা হবে নদীতীরে। বর্ষার সময় বাঁধের ওপরে যাতে পানি না ওঠে সেই লক্ষ্যে জোরদার হবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।

সূত্র জানায়, দোহার-বিরুলিয়া-গাবতলী-চাষাড়া-সিমরাইল-ডেমরা হয়ে সার্কুলার রুটটি নির্মিত হবে। পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের আওতায় সার্কুলার রুটটি টঙ্গী-আশুলিয়া-সাভার-গাবতলী-বসিলা-কদমতলী-কালাকান্দি-ফতুল্লা-হাজীগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)-সিমরাইল-ডেমরা-বেরাইদ-পূর্বাচল হয়ে আবদুল্লাহপুরে গিয়ে মিলিত হবে। ৪৭ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট, ১৬ কিলোমিটার ওভারপাস, ফ্লাইওভার, ইউলুপ, ৪০৭ মিটার বক্স কালভার্ট এবং বুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে ১ হাজার ৪৩৫ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে সওজ-এর অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, দীর্ঘ সময় সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ভেতরে জটলা অনেক বেশি। এই জটলা নিরসনে ঢাকার চারপাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে।

তিনি জানান, সার্কুলার রোড ফেইজ-২ এর আওতায় নদীতীরের পাশে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোথায় কী পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে তা চিহ্নিতকরণ, কী পরিমাণ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে তার তালিকা প্রস্তুতকরণ এবং জমি অধিগ্রহণে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণের সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণে নিজ নিজ জেলার অতিরিক্ত প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করবে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক।

সূত্র জানায়, কনস্ট্রাকশন অব ঢাকা ইনার সার্কুলার রুট-২ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫০২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের ব্যয়ের মোট অর্থ থেকে ৬ হাজার ১৯১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (পিডিপিপি) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান সাইফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, প্রকল্পের পিডিপিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে। বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবটি ইআরডিতে পাঠানো হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close