চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮

চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীদের দুই পক্ষের হাতাহাতি

চেম্বার বরাদ্দ নিয়ে চট্টগ্রাম আদালত অঙ্গনে আইনজীবীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফের অনুসারীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। দুইজনই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, আইনজীবীদের জন্য নির্মিত শাপলা ও দোয়েল ভবনে চেম্বার বরাদ্দ, বিনিময় এবং স্থানান্তর চলছে। শাপলা ভবনে টেন্ডার ছাড়া ৭৩টি চেম্বার বরাদ্দ নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। গতকাল ৮ জানুয়ারি সমিতির ৩ নম্বর মিলনায়তনে সাধারণ সভা আহ্বান করেন সভাপতি। সোমবার বেলা ১টার দিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক দুইটি অংশ একইসময় সভা করার জন্য তিন নম্বর মিলনায়তনে যায়। এ সময় উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময়ের এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানতে চাইলে আবু হানিফ বলেন, চেম্বারগুলো তৈরির জন্য দেড় থেকে দুই কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সমিতিতে ছিল মাত্র ৩৩ লাখ টাকা। বাকি টাকার জোগান দিয়েছেন চেম্বার গ্রহীতা আইনজীবীরা। তারা নিজেরাই সরাসরি বারের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সভাপতি বলছেন বরাদ্দ বাতিল করে টেন্ডার আহ্বান করতে হবে।

চেম্বার স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, চেম্বার বরাদ্দ দেওয়ার সময় আমরা নিয়েছিলাম। অথচ সভাপতি এখন টেন্ডারের কথা বলে সেই বরাদ্দ বাতিল চাচ্ছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বের জন্য তো আমরা দায়ী হতে পারি না। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে সভাপতির লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। বরাদ্দকৃত চেম্বার আমাদেরকে অবশ্যই দিতে হবে। নয়তো এখান থেকে আমাদের লাশ নিতে হবে।

এই বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায় বলেন, চেম্বার বরাদ্দ নিয়ে টেন্ডার ঢাকা হয়নি। আগে বরাদ্দ পাওয়া আইনজীবীকেও নতুন করে চেম্বার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু অনিয়ম হয়েছে টেন্ডার বরাদ্দ নিয়ে। এই অবস্থায় সাধারণ আইনজীবীদের দাবির মুখে অবৈধভাবে সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। বিল্ডিং কমিটি এখন নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দ দেবে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল আবু হানিফের। আইনজীবীদের দাবির মুখে এখন তার নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক জেলা পিপি আবুল হাশেম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist