শাহাদাত হোসেন মনু, ঝালকাঠি

  ১১ আগস্ট, ২০২০

গিনেস বুকে নাম লেখানো জুবায়েরকে সংবর্ধনা

‘নেক থ্রো ক্যাচেস’ ক্যাটাগরিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ডের জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃতি পাওয়ায় ঝালকাঠির কৃতী সন্তান আশিকুর রহমান জুবায়েরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। জুবায়ের ঝালকাঠি শহরের মসজিদ বাড়ি সড়কের বাসিন্দা ও সাবেক পৌর কমিশনার জালাল আহমেদের ছেলে।

গত রোববার বিকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব হলরুমে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা লীগ নেত্রী ইসরাত জাহান সোনালী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর তরুণ কর্মকার, যশোর সরকারি এমএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মু. আবদুস সালাম হাওলাদার, প্রেস ক্লাব সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আককাস সিকদার, নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন, সংবর্ধিত জুবায়েরের বাবা সাবেক পৌর কমিশনার জালাল আহমেদ প্রমুখ। ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটির সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনির সভাপতিত্বে সদস্য ইসরাত সুলতানা নিশির পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রাব্বি।

প্রথমবারের মতো গিনেস বুকে নাম ওঠানো ২২ বছর বয়সি জুবায়ের এক মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার ঘাড়ের ওপর ফুটবল নাচিয়ে ফ্রি স্টাইলের স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত ৩০ জুলাই রাববার তাকে এই স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কমিটি। এক মিনিটে ৬৫ বার ফুটবল ঘাড়ের ওপর নাচিয়ে জুবায়ের নতুন এ রেকর্ড গড়েন।

জুবায়ের বরিশাশের ব্রজমোহন কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। শুরুতে পরিবার থেকে সমর্থন না পেলেও এখন জুবায়েরের কৃতিত্বে খুশি বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই।

বাবা জালাল আহমেদ বলেন, ‘খেলাধুলা থেকে দেশে খুব বেশি সাফল্য পাওয়া যায় না। এমন ধারণা থেকেই ছেলেকে পড়াশোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হতে বলি। কিন্তু সে লুকিয়ে লুকিয়ে এসব প্র্যাকটিস চালিয়েছে। এখন সে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। এ থেকে কী হবে জানি না। তবে চাই সে এটা করুক। পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যাক তার এই ফুটবলশৈলী।

জুবায়েরের বড় ভাই লন্ডন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘আমার ভাই এভাবে গিনেস বুকে নাম লেখাবে বুঝতে পারিনি। তবে ছোট থেকেই ওর খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল। ও যেন আরো ভালো করতে পারে, তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইছি।’

গিনেস রেকর্ডের ব্যাপারে জুবায়ের বলেন, ‘নিজের খেয়াল থেকেই এগুলো করেছি। ছোটবেলাতে ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বেশিদূর এগোতে পারিনি। তবে ইচ্ছা ছিল আলাদা কিছু করার। বাসায় লেখাপড়ার জন্য বাবা-মায়ের কড়া শাসন থাকলেও ঘরের দরজা বন্ধ করেই নিয়মিত চালিয়ে যেতাম প্র্যাকটিস। এক্ষেত্রে পেছনে কোনো প্রশিক্ষক ছিল না। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো অনেকেই এর প্রতি ঝুঁকবে আশা করি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close