বাংলাদেশ জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের আর্থিক ভিত বেশ শক্ত। তবে চুক্তির আওতাধীন ক্রিকেটার ছাড়াও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা আরো ৯০ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মাসিক পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু এর বাইরেও আছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার, যাদের রুটি-রুজি মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ওপর নির্ভরশীল। করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন তারা। তাদের অবস্থা বুঝে পাশে দাঁড়িয়েছে বোর্ড, দিচ্ছে আর্থিক অনুদান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন চুক্তির বাইরের এসব ক্রিকেটারদের চলমান পরিস্থিতিতে এক দফায় ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন কয়েকজন ক্রিকেটার। তাদের জন্য আপাতত কিছুটা স্বস্তির খবর জানাচ্ছেন বোর্ড প্রধান, ‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য খেলা বন্ধ আছে। যেসব ক্রিকেটার বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে নেই, তারা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব থেকেও সামান্য কিছু টাকা পেয়েছেন। এই সময় তাদের জন্য (অর্থনৈতিক দিক থেকে) বেশ কঠিন। আমরা তাদের কিছুটা আর্থিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগামী দুই মাস তাদের এই সহায়তা দেব।’

বিসিবির লাল ও সাদা বলের ফরম্যাট মিলিয়ে জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন ১৭ ক্রিকেটার। এর বাইরে ৯০ জন আছেন প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে। এছাড়া যুব বিশ্বকাপ জিতে আসা ক্রিকেটারদেরও দুই বছরে চুক্তিতে রাখছে বোর্ড। সব মিলিয়ে বিভিন্ন রকম চুক্তিতে আছেন ১২২ জন ক্রিকেটার, যারা নিয়মিত মাসিক পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। চুক্তিতে থাকা এই ক্রিকেটারদের বাইরে প্রিমিয়ার লিগে আরো ১১৮ জন ক্রিকেটার খেলে থাকেন। তাদের প্রত্যেকে তাই পাচ্ছেন ৩০ হাজার টাকার অনুদান।

"