ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৬ এপ্রিল, ২০১৯

বিশ্বকাপের আগে বিশ্ব একাদশ

২০১৯ বিশ্বকাপ পর্দা উঠতে আর বেশি দেরি নেই। ক্রিকেটের মর্যাদাকর এই লড়াইয়ের আগে সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ নির্বাচন করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো।

মূলত ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হওয়া আসরটির সর্বশেষ ১১ সংস্করণের ক্রিকেটাররা জায়গা পেয়েছেন নির্বাচনটিতে। জরিপে অংশ নিয়েছেন ক্রিকইনফোর ২২ জন বিশেষজ্ঞ। নির্বাচন শুরু হয় ৩৯ জন ক্রিকেটার নিয়ে। একমাত্র পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরাম ছিলেন সবার পছন্দের তালিকায়। বাকি ১০ ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন ভোটের ভিত্তিতে।

নিচে তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান দেওয়া হলো

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (উইকেটরক্ষক) : তিনটি বিশ্বকাপ খেলা গিলক্রিস্ট ৩১ ম্যাচে ৩৬.১৬ গড়ে করেছেন ১০৮৫ রান। ডিসমিসাল ৫২টি। ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গিলির ১৪৯ রানের ঝড়ে শিরোপা উৎসব করেছিল অজিরা।

শচীন টেন্ডুলকার : ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ হিসেবে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি শচীনের। ১৯৯৬ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে ভারতকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেছেন। রেকর্ড ৬টি বিশ্বকাপ খেলা শচীন ৪৫ ম্যাচে ৪৫.৯৫ গড়ে করেছেন ২২৭৮ রান। ১৫ অর্ধশতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৬টি শতক।

রিকি পন্টিং : অস্ট্রেলিয়া যে বিশ্বকাপে টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছিল তার অর্ধেক অবদান পন্টিংয়ের। অজিদের ইতিহাস গড়া হ্যাটট্রিক শিরোপার দুটি এসেছে তার নেতৃত্বে। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে একাই ১৪০ রান করে শিরোপা জেতান তিনি। ৪৬ ম্যাচে ৪৫.৮৬ গড়ে তার রান ১৭৪৩। বিশ্বকাপে ৫টি শতক ও ৬টি অর্ধশতক আছে তার।

ভিভ রিচার্ডস : সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার মানা হয় তাকে। ব্যাটিংয়ের ব্যাকরণটাই পাল্টে দিয়েছেন বোলারদের তুলোধুনো করা ভিভ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। ভিভ বিশ্বকাপে ২৩ ম্যাচে ৩ শতক ও ৫টি অর্ধশতক হাকিয়ে ৬৩.৩১ গড়ে করেছেন ১০১৩ রান।

কুমার সাঙ্গাকারা : বিশ্বকাপে রেকর্ড চার সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার সাঙ্গাকারা। এছাড়া এক আসরে ৫০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়া চতুর্থ ক্রিকেটার তিনি। এই লঙ্কান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৩৭ ম্যাচে ৫ শতক ও ৭ অর্ধশতকে করেছেন ১৫৩২ রান। গড় ৫৬.৭৪।

ইমরান খান (অধিনায়ক) : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মতো সেরা একাদশেরও প্রধান ইমরান খান। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ‘আন্ডারডগ’ দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। অলরাউন্ডার খান ২৮ ম্যাচে ৩৫.০৫ গড়ে করেছেন ৬৬৬ রান। বল হাতে তার শিকার ৩৪ উইকেট।

ল্যান্স ক্লুজনার : ১৯৯৯ বিশ্বকাপে আগুন ঝরানো বল করে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন ক্লুজনার। প্রোটিয়া পেসার বিশ্বকাপে খেলেছেন মাত্র ১৪ ম্যাচ। বল হাতে ২২.১৩ গড়ে নিয়েছেন ২২ উইকেট। আর ব্যাট হাতে ১২৪.০০ গড়ে তার সংগ্রহ ৩৭২ রান।

ওয়াসিম আকরাম : ‘সুলতান অব সুইং’ নামেই খ্যাত তিনি। প্রজন্মের সেরা বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আকরামের সুইং জাদুতে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতে পাকিস্তান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও দলকে ফাইনালে তুলছিলেন। বিশ্বকাপে ৩৮ ম্যাচ খেলে আকরাম উইকেট নিয়েছেন ৫৫টি। দুইবার ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি একবার শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ইকোনমি রেট ৪.০৪।

শেন ওয়ার্ন : ‘স্পিন জাদুকর’ খ্যাত অজি ডানহাতি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন বিশ্বকাপে বল হাতে ১৭ ম্যাচে ৩.৮৩ ইকোনমি রেট শিকার করেছেন ৩২ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়েছেন চারবার। অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জেতাতে না পারলেও ১৯৯৯ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি।

মুত্তিয়া মুরালিধরন : অভিষেক বিশ্বকাপেই (১৯৯৬) শ্রীলঙ্কার হয়ে শিরোপার স্বাদ পান মুত্তিয়া। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪০ ম্যাচ খেলে ৩.৮৮ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৬৮ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়েছেন একবার।

গ্লেন ম্যাকগ্রা : ৩৯ ম্যাচে ৭১ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটা এখনো অক্ষত রেখেছেন ম্যাকগ্রা। ২০০৭ বিশ্বকাপে একটি হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি রেকর্ড ২৬ উইকেট নিয়েছেন এই অজি পেসার। সেবার প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পালকটিও যুক্ত হয় তার মুকুটে। বিশ্বকাপে ম্যাকগ্রার বোলিং ইকোনমি রেট ৩.৯৬। ৫ উইকেট পেয়েছেন দুইবার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close