ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্যাটিংয়ে আল আমিন-এনামুল বোলিংয়ে তাইজুলের দিন

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের প্রথম দিন সেঞ্চুরি মিসের মহড়া বসিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। পরশু সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও বঞ্চিত হয়েছেন চার ব্যাটসম্যান। কাল অবশ্য সেই হতাশা কিছুটা হলেও দূর হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এনামুল হক বিজয় এবং আল আমিন জুনিয়র। এই দুজনের শতকের ওপর দাঁড়িয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় লিডের আশা জাগিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪০৭ রান। আজ ১৫৫ রানে পুনরায় ব্যাট হাতে নামবেন এনামুল। তার সঙ্গী আল আমিন ইনজুরির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন ১১৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। এর আগে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উত্তরাঞ্চলকে ২৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল।

কাল দ্বিতীয় দিনের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের। ৫৭ রানে তাদের হারাতে হয়েছে ৩ উইকেট। পরে দক্ষিণাঞ্চল প্রতিরোধ গড়ে তুলে এনামুল ও আল আমিনের ব্যাটে। ১০৪ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া আল আমিন জুনিয়র ১১০ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ১১৯ বলের ইনিংসটি গড়া ১১ চার ও ৩ ছক্কায়। ক্রিজে এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া মেহেদি হাসানের সঙ্গে দ্রুত জমে যায় এনামুলের জুটি। ৭৬ বলে ৭ চার ও তিন ছক্কায় ৮৪ রান করা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদীকে ফিরিয়ে দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙেন ইবাদত হোসেন। এনামুলের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন নাহিদুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের সপ্তদশ শতক পাওয়া এনামুল অপরাজিত থাকেন ১৫৫ রানে। তরুণ এই ওপেনারের ২৮৩ বলের দায়িত্বশীল ইনিংসটি গড়া ১৩টি চারে।

অবশ্য এনামুল-আল আমিন তিন অংকে পৌঁছালেও ৬ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন মাহমুদুল হাসান। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ২০১ রানে লিড পেয়েছে পূর্বাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লিড আরো ২ রান বাড়িয়ে নিয়েছে তারা।

কাল সিলেটে ৮ উইকেটে ৩৮০ রানে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল ও আবু জায়েদের ব্যাটে এগিয়ে যায় পূর্বাঞ্চল। সেঞ্চুরির আশা জাগানো মাহমুদুলকে বোল্ড করে ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তরুণ এই পেসার পরের বলে ফিরিয়ে দেন সৈয়দ খালেদ আহমেদকে। ১৩৩ বলে খেলা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাহমুদুলের ৯৪ রানের ইনিংসটি গড়া ১১টি চারে। ৯৬ রানে ৪ উইকেট নেন মধ্যাঞ্চলের পেসার তাসকিন।

জবাব দিতে নেমে মধ্যাঞ্চলের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জনই পৌঁছান দুই অংকে। তাদের কেউই বড় করতে পারেননি নিজের ইনিংস। ৫০ পর্যন্ত যান কেবল পিনাক ঘোষ ও মোসাদ্দেক হোসেন। ওপেনার পিনাক ৭ চারে করেন ৫১। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় করেন ৫৭ রান। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলির সঙ্গে মোসাদ্দেক গড়েন ঠিক ৫০ রানের জুটি। তাইজুলের স্পিনে পূর্বাঞ্চল শেষ ৫ উইকেট হরায় মাত্র ৩১ রানে। তাইজুল ৬ উইকেট নেন ৯২ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল:

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : (আগের দিন ৩৮০/৮) ৮৮.৫ ওভার, ৪২৫ (মাহমুদুল ৯৪, আবু জায়েদ ১৬*; তাসকিন ৪/৯৬, আবু হায়দার ২/৮৫, মোসাদ্দেক ২/৯৭, মোশাররফ ২/৯১)

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৭২.১ ওভার, ২২৪ (সাইফ ২২, পিনাক ৫১, মজিদ ২৪, মোসাদ্দেক ৫৭, জাকের ২৪; আবু জায়েদ ১/৪৭, তাইজুল ৬/৯২, নাঈম ২/৪৪, খালেদ ১/৩৪)

পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস : ১ ওভার, ২/০ (রনি ১*, ইমরুল ১*; তাসকিন ০/২)

উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল

উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৯৩

দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : (আগের দিন শেষে ২১/১) ৯৫.২ ওভার, ৪০৭/৫ (এনামুল ১৫৫*, আল আমিন জুনিয়র ১১০, মেহেদি ৮৪, নাহিদুল ২৬; ইবাদত ২/৫৯, সানজামুল ২/১১৮)

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close