ক্রীড়া ডেস্ক
এক পায়েই তামিমদের জেতালেন স্যামি
২২ গজে যখন এসেছিলেন, তখন ম্যাচ জিততে পেশোয়ারের প্রয়োজন ছিল ৯ বলে ১৭ রান। অন্য যেকোনো দিনেও হয়তো ম্যাচ জিতিয়েই সাজঘরে ফিরতেন ড্যারেন স্যামি। এদিনও তাই করলেন। পার্থক্যটা, চোটের কারণে প্রায় এক পায়ের ওপর ভর দিয়েই ম্যাচটা জিতিয়েছেন স্যামি। পাকিস্তান সুপার লিগে পরশু রাতে মুখোমুখি হয়েছিল কোয়েটা গাডিয়েটর্স ও পেশোয়ার জালমি। আগের ম্যাচে কোয়েটার জার্সিতে ফিল্ডারের ভ‚মিকায় থাকলেও বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ এ ম্যাচে একাদশে ছিলেন না। তবে পেশোয়ারের একাদশে তামিমের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো খেলেছেন সাব্বির। ম্যাচের একপর্যায়ে জুটি বেঁধেছিলেন দুজন; সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতিয়ে আনার। তবে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির।
তবে তামের ৩৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ম্যাচে কক্ষপথে ছিল পেশোয়ার। ইনিংসে তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাকান বাংলাদেশি বাঁ-হাতি ওপেনার। কোয়েটার দেওয়া ১৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসা সাব্বিরকে নিয়ে জুটি বাধেন তামিম। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউট হয়ে ফেরেন তিনি। সাব্বির ১ চারে ১১ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও ফিল্ডিংয়ে তিনটি গুরুত্বপ‚র্ণ ক্যাচ নেন সাব্বির।
তামিম-সাব্বিরের বিদায়ে ম্যাচটা যখন হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল, তখন উইকেটে ত্রাতার ভ‚মিকায় আসেন স্যামি। পায়ের চোটের কারনে ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছিলেন না। ওই অবস্থাতেই চার বলে দুটি ছয় আর একটি চারে করেন ১৬ রান। পেশোয়ার ম্যাচ জেতে ৫ উইকেট, ২ বল বাকি থাকতে। বোলিংয়ে ২ উইকেট আর ম্যাচ জেতানো ১৬ রানে ম্যাচসেরাও স্যামি।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে কোয়েটা। শেন ওয়াটসন ৩২ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস।
"