প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ এপ্রিল, ২০১৯

শ্রীলঙ্কা হামলা

বিশ্বনেতাদের নিন্দা-ক্ষোভ

শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের পর গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনায় বিশ্বনেতারা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রমুখ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় ইস্টার সানডে পালনকালে একাধিক বিস্ফোরণে বহু হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি গতকাল এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি শ্রীলঙ্কার সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বর্ণ, ধর্ম ও দেশ নেই। তারা সন্ত্রাসী এবং মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। আমি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্প এক টুইটে সব ধরনের সাহায্যের জন্য তিনি প্রস্তুত জানিয়ে বলেন, গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কার জনগণের জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা জানাই। আমাদের এ অঞ্চলে এমন বর্বরতার কোনো স্থান নেই।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তীব্র নিন্দা জানিয়ে শ্রীলঙ্কানদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এই বেদনার সময় তিনি শ্রীলঙ্কার পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, হামলা সত্যিই বেদনার। যারা এতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি গভীর সহানুভুতি। আসুন আমরা একত্র হয়ে এটা নিশ্চিত করি, আতঙ্ক ছাড়াই যেন সবাই যার যার ধর্মবিশ্বাস চর্চা করতে পারেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, নিউজিল্যান্ড সব ধরনের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানায়। শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে এ ধরনের হামলা ভীষণ বিপর্যয়কর। এ ধরনের নৃশংসতা বন্ধে সম্মিলিতভাবে আমাদের অবশ্যই এর কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধান করতে হবে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে এক চিঠিতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ইস্টার উদ্যাপন করতে জড়ো হওয়া লোকজনদের এভাবে ভয়ংকর হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া খুবই বেদনাদায়ক।

এক টুইটে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমরা এ ধরনের জঘন্য কা-ের তীব্র নিন্দা জানাই। ইস্টার ডেতে প্রিয়জন হারানো সবার প্রতি সমবেদনা।

টুইটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা সত্যিই আতঙ্কজনক। যারা এই ভয়ংকর সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন, তাদের সবার জন্য আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে দাঁড়াত হবে। যেন কখনোই আতঙ্কের সঙ্গে তার বিশ্বাস লালন করতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজে এক টুইটে বলেন, সন্ত্রাস এবং বর্বরতা কখনোই আমাদের হারাতে পারবে না।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদে জাঙ্কার টুইটে লেখেন, আমি শ্রীলঙ্কায় বোমায় বহু মানুষের প্রাণহানির খবর শুনে আতঙ্কিত এবং দুঃখিত। আমরা সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।

টুইটারে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেয়্যুভেন লিভলিন বলেন, ইস্টার সানডের উদ্যাপনে প্রার্থনারত মানুষেদের ওপর হামলার ঘটনা খুবই ঘৃণ্য অপরাধ। আমরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান; একজন ধার্মিকের ওপর হামলার অর্থ আমাদের সবার ওপর হামলা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেন, এটা পুরো মানবজাতির ওপর হামলা।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফও শ্রীলঙ্কায় হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close