বরগুনা প্রতিনিধি

  ১০ এপ্রিল, ২০১৯

বরগুনায় ফের বিদ্যালয়ে ছাদধস পাঠদান বন্ধ

ক্লাস চলাকালে বরগুনার তালতলী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদধসে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সদর উপজেলার আরেকটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ক্লাস চলাকালে বরগুনা পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকার ১৬ নম্বর মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, বরগুনার আমতলীতে একটি স্কুল ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেখানকার ৭ শ্রেণিকক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ যেখানে ধসে পড়ে, সেখানে রিফাত নামের প্রাক প্রাথমিক ক্লাসের এক শিক্ষার্থী বসেছিল। সে ইউনিফর্ম পরে না আসায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রিফাত ওই জায়গা থেকে উঠে বাসায় যাওয়ার দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছাদধসের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা নিপা জানান, গত দুই বছরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনটির কোনো সংস্কার করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছবিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও কাজ হয়নি। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ‘ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভবনটির যে যে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেসব স্থানের পলেস্তারা ফেলে দিতে বলা হয়েছে।’

বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে দেখব শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী আছে কি না। পাঠদানের উপযোগী থাকলে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

আমতলীতে স্কুল ভবনে ফাটল ৭ শ্রেণিকক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা : আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি জানায়, বরগুনার আমতলী পৌর শহরের মফিজ উদ্দিন (এমইউ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুইটি ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ছে, বিমে ধরেছে ফাটল। বেরিয়ে পড়েছে রড। ক্লাস চলার সময়ই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে পড়ে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যেই চলছে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে স্কুলটির ১৩টি শ্রেণিকক্ষের সাতটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে একটি একতলা পাকা ভবন, ২০০০ সালে আরেকটি দোতলা ভবন নির্মিত হয়। বর্তমানে ভবন দুটির অবস্থা খুবই নাজুক। প্রায়ই খসে পড়ে পলেস্তারা। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পড়ে পানি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে তালতলী উপজেলার ছোটবগী পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেড বিম ধসে মানসুরা বেগম নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close