নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ জানুয়ারি, ২০১৯

সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ঢাকায় আজ দাফন

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিম-লীর সদস্য এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের লাশ গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় আনা হয়েছে। বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ তার লাশ দাফন করা হবে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দ আশরাফের লাশ বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টার করে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে তার লাশ। সেখানে দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের তৃতীয় জানাজা ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। আসর নামাজের পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের লাশ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। উড়োজাহাজ থেকে নামানোর পর লাশ গ্রহণ করেন সৈয়দ আশরাফের ভাই সাফায়েত উল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান নওফেল, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সাদেক খান।

বিমানবন্দরেই আশরাফের কফিন ফুল দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন ঢেকে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আশরাফের লাশবাহী গাড়ি রওনা হয় তার ২১ বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে। সেখানে একটি শোক বই খোলা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী শীলা আহমেদ মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে ক্যানসারে ভুগছিলেন। এই দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে।

অসুস্থতার কারণে সৈয়দ আশরাফ গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এ অবস্থাতেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। দশম সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close