নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ অক্টোবর, ২০১৮

রায়ে অসন্তুষ্ট ভুক্তভোগীরা

গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি সরকারি দল ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীরা। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। গতকাল বুধবার রায়ের পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীরা রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিএনপি-জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা হয়েছে। কোনো একক ব্যক্তির পক্ষে এ হামলা সম্ভব নয়। এটার জন্য যদি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফাঁসি হয়, তাহলে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিএনপিকেও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গ্রেনেড হামলার শিকার আজিজুর রহমান বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ও চক্রান্তকারীদের ফাঁসির রায় হবে। কিন্তু তারেক জিয়ার ফাঁসি না হওয়ায়, আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত যাব।

কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা বলেন, তারেক জিয়ারসহ সব হামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁসি হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। আমরা এ রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত যাব।

রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন হামলার শিকার ও নারীনেত্রী রাশিদা আক্তার রোমা। তিনি বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

হামলায় আহত অ্যাডভোকেট কাজী শাহানা ইয়াসমিন বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। হস্তক্ষেপ থাকলে এ রকম রায় হতো না। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। আমরা তারেক জিয়ার ফাঁসি চাই।

২১ আগস্ট আহত ও নিহতদের সংগঠন ২১ আগস্ট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন নাজমুল বলেন, আমরা যারা হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য আছি, তারা আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা হামলার ষড়যন্ত্রকারী ও হোতা হিসেবে তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন না, ফাঁসি দাবি করেছিলাম এবং এখনো করছি। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close