আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ আগস্ট, ২০১৮

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ইমরান

পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হাউসে শপথ নেন দেশটির সাবেক এই ক্রিকেটার। ইমরানকে দেশের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান করান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পথেই হাঁটলেন

ইমরান খান। বিদেশে গচ্ছিত দেশের কালো টাকা ফেরত আনতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেট তারকা। তিনি বলেন, দেশকে যারা লুটছে, তাদের ছাড়ব না।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ভোটাভুটিতে সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন দেশটির নবনির্বাচিত সাংসদরা। জাতীয় পরিষদে ১৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন ৬৫ বছর বয়সী ইমরান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান শাহবাজ শরিফ পান মাত্র ৯৬ ভোট। দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ।

লন্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় ও কর ফাঁকি দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-পাচার এবং বিদেশে কোম্পানি খোলার দায়ে অভিযুক্ত নওয়াজকে গত বছর দেশটির আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। ২০১৫ সালে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নওয়াজের নাম আসার পর দেশটির আদালত তদন্ত শুরু করে। এই তদন্তে অবৈধ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পর দেশটির দুর্নীতিবিরোধী আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়। পরে ১৩ জুলাই লন্ডন থেকে ফেরার পর নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)।

অন্যদিকে, দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে জড়িত ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইমরান খান ১৯৯৬ সালে তার রাজনৈতিক দল পিটিআই গঠন করেন। ২০১৩ সাল থেকে দেশটির জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান সাবেক এই ক্রিকেট তারকা।

গত ২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হয়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এতে ১১৬টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ইমরানের দল পিটিআই। তবে নিয়ম অনুসারে দেশটির পার্লামেন্টের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৩৭টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় ইমরানকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close