প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
‘ভাগ্যক্রমে বেঁচে এসেছি’
নেপালের রাজধানীর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন বসন্ত বহরা। তিনি রাস্বিত আন্তর্জাতিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ?ট্যুরসের একজন কর্মকর্তা। বিমান দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিমানটি ঢাকা থেকে স্বাভাবিকভাবেই ছেড়েছিল। কিন্তু কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় সবকিছু অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। হঠাৎ বিমানটি কেঁপে ওঠে এবং প্রচ- শব্দ হয়। জানালার পাশেই ছিল আমার আসন। কাচ ভেঙে আমি বেরিয়ে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানটিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ১৭ জন নেপালি ছিলেন। আমরা ট্রেনিংয়ের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।’ বসন্ত বলেন, ‘প্লেন থেকে বের হওয়ার পর যা কিছু ঘটেছে, তার কিছুই মনে নেই আমার। কেউ আমাকে সিনামঙ্গল হাসাপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে নর্ভিকে নিয়ে আসে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়েছি। কিন্তু আমি ভাগ্যবান, কারণ কঠিন একটা সময় পার করতে হয়েছে।’ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমানে ৪ ক্রুসহ ৭১ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও দুটি শিশু।
"