নিজস্ব প্রতিবেদক
কলেজছাত্র রওনক ত্রিভুজ প্রেমের বলি
গ্রেফতার ৫
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিকের পরিকল্পনায় খুন হন শাখারীবাজারে কলেজছাত্র রওনক, যার মূলে রয়েছে ত্রিভুজ প্রেম। তবে রওনক হত্যার পরিকল্পনাকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিককে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই সঙ্গত কারণে ওই প্রেমিকের নাম গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১ মার্চ শাখারীবাজারে হোলি উৎসবে এ খুনের ঘটনায় গত সোমবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, ফাহিম আহম্মেদ ওরফে আব্রো, ইয়াসিন আলী, আল আমিন ওরফে ফারাবী খান ও লিজা আক্তার ওরফে মাইসা আলম।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান জানান, মাইসা নামে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কলেজছাত্র রওনকের। সেই সম্পর্ক ছিন্ন করে তুহু নামের আরেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে রওনক। তুহু রওনকের পাশাপাশি আরেকটি ছেলের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে রওনকের প্রায়ই বাক-বিতন্ডা হতো এবং সে রওনককে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে রওনককে খুনের পরিকল্পনা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিক ওই যুবক। যেহেতু রওনকের সঙ্গে মাইসার আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল তাই মাইসাকে ব্যবহার করে রওনককে হোলি উৎসবে নিয়ে আসে ওই যুবক। এরপর পূর্বপরিকল্পনা মতো শাখারীবাজার শনি মন্দিরের সামনে রওনককে ঘিরে ফেলে ২০ থেকে ২৫ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন রওনককে ছুরিকাঘাত করে।
ঘটনার দিন রওনক কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে কলাবাগানে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয় জানিয়ে ডিসি ইব্রাহিম জানান, তুহুর অপর প্রেমিকের পরিকল্পনায় মাইসার প্ররোচনায় রওনকসহ ৮ বন্ধু শাখারীবাজার যায়। রওনক পৌঁছানোর আগেই ওই যুবক লক্ষ্মীবাজার কেএফসি রেস্টুরেন্টের সামনে কয়েকজন মিলে পরামর্শ করে। সে সময় কয়েকজনকে ছুরি সরবরাহ করে ওই যুবক। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এরই মধ্যে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিসি ইব্রাহিম আরো বলেন, তুহুর অপর প্রেমিক এবং খুনের পরিকল্পনাকারী ওই যুবককে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। সঙ্গত কারণেই তার নামটি বলা যাচ্ছে না। গ্রেফতার হওয়া যুবকদের মধ্যে ফারহান নিজেই ছুরিকাঘাত করেছে। মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তুহুর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুহুর দুই প্রেমিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিন্তু ওইদিন তুহুর সঙ্গে তাদের কারো যোগাযোগ হয়নি এবং কথোপকথনের কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
"