খুলনা প্রতিনিধি
নড়াইলের আ.লীগ নেতা প্রভাষ রায় হত্যা
সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের ফাঁসি
নড়াইল জেলা সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষ রায় ওরফে হানু হত্যা মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ নয়জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্তরা হলেনÑ নড়াইল জেলা সদরের মীরাপাড়ার মৃত মজিদ মিনার দুই ছেলে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান মিনা ওরফে শহিদ, তার ভাই মো. ইলিয়াছ মিনা, সাহিদুর রহমান মিনার ছেলে মো. আশিকুর মিনা ওরফে আশিক, মোশারফ মিনার ছেলে মো. রাসেল মিনা, মৃত হাতেম মোল্লার ছেলে বাশার মোল্লা, মোশারফ মোল্লার ছেলে রবিউল মোল্লা, আটেরহাট এলাকার মৃত হারান মোল্লার ছেলে এনায়েত মোল্লা, পইলডাঙ্গা এলাকার মতিয়ার মোল্লার ছেলে ইয়াসিন মোল্লা ও মুসা মিনার ছেলে মামুন মিনা। রায় ঘোষণাকালে সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম নথির বরাত দিয়ে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাষ রায় নৌকার পক্ষে কাজ করেন। অপরদিকে, আসামি মো. সাহিদুর রহমান মিনা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর চেয়ারম্যানের সমর্থকরা প্রভাষ রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় প্রভাষ রায় চেয়ারম্যানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রভাষ রায় শহর থেকে সরস্বতী পূজা পরিদর্শন শেষে মীরাপাড়া বাজারের ফারুকের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান ফকিরের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী, আসামিরা একত্রিত হয়ে প্রভাষ রায়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি বড় ছোরা প্রভাষ রায়ের পেটে ঢুকিয়ে দেয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রভাষ রায় মারা যায়। এ ঘটনায় প্রভাষ রায়ের স্ত্রী টুটুল রানী রায় বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫Ñ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ভবতোষ রায় নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এডভোকেট এনামুল হক।
"