ঈদে ছেলেদের চুলের কাট
ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সবাই। আবার নিজের সৌন্দর্যের দিকেও নজর রাখতে হয়। সৌন্দর্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চুল। ঈদে চুলের কাট নিয়ে নিরীক্ষা করতে দেখা যায় তরুণদের। আবার খেলোয়াড়দের অনুকরণে চুল কাটানোর জন্য সেলুনে আসেন অনেকেই। সামনে বিশ্বকাপ, আর তাই ঈদের চুল কাটানোটাও খেলোয়াড়দের অনুকরণে করবেন অনেকেই।
এই ঈদে যে ধরনের চুলের স্টাইল চলবে
আন্ডারকাট : এই স্টইলে মাথার দুই পাশের ও পেছনের চুল ক্লিপার মেশিন দিয়ে ছোট করে ফেলা হয়। এমনকি ক্ষুর দিয়ে কামিয়ে ফেলা যায়। মাথার ওপরের চুল তুলনামূলকভাবে বেশ বড় রাখা হয়। কেউ সেই চুল পেছনের দিকে আঁচড়িয়ে কম্ভ-ওভার করে। কেউ পাশে সিঁথি করে আবার কেউ মেসি স্টাইল করে রাখে।
ক্লাসিককাট : এটি একসময়ের পুরোনো একটি স্টাইল। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমাদের চোখের সামনে আদিযুগের অনেক কিছুই আবার নতুন মাত্রা যোগ করে অত্যাধুনিক হয়ে ওঠে, যেমন ক্ল্যাসিককাট। এই স্টাইলটি মূলত ক্লিপার মেশিনের ৩-৪ নম্বর ক্লিপ দিয়ে মাথার দুপাশ ও পেছনের সাইট ছোট করে কাটা হয়। দুই পাশের জুলফি সামান্য মোটা ও মাঝারি সাইজের রাখা হয়। সামনের চুলগুলো তুলনামূলকভাবে একটু বড় রাখা হয়। যাতে করে দুই পাশে নিজের ইচ্ছেমতে সিঁথি বা ব্যাক ব্রাশ করেও স্টাইল করা যায়।
স্পাইককাট : এটিও একটি কমন হেয়ার স্টাইল। কিন্তু আপনি এর সঙ্গে আরো ভালো কিছু মাত্রা যোগ করে নতুন একটি রূপ দিতে পারেন। এই স্টইলটি করতে মূলত মাথার দুই পাশ ও পেছনের চুল তুলনামূলকভাবে ক্লিপার মেশিনের ২-৩ নম্বর ক্লিপ দিয়ে ছোট করতে হয়। সামনের চুল হালকা বড় রাখতে হয়। সে সঙ্গে কেউ চাইলে ডান বা বাম পাশের কান থেকে ঠিক একট-ওপরে ক্ষুর দিয়ে লম্বা করে ২ ইঞ্চির মতো কেটে সুন্দর সেড অ্যাড করতে পারে। এই স্টাইলটি মূলত হার্ড জেল, হেয়ার ওয়াক্স বা স্প্র্রে দিয়ে সেট করতে হয়। যাদের বয়স ১৫-৩০ তাদের মধ্যে স্টাইলটি বেশ মানানসই।
ফেডকাট : এই স্টাইলটি এবার বেশি দেখা যাচ্ছে। মাথার দুই পাশের চুল কান পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে ক্লিপার মেশিন দিয়ে ছোট করতে হয় ও পেছনের চুল তুলনামূলকভাবে একটু বড় রাখতে হয়। এটাকে বলে ফেডকাট। কিন্তু সব ফেডকাট একই রকম নয়। চুলের দৈর্ঘ্যরে ওপর নির্ভর করে এর বৈচিত্র্য। যেমন : ফেড, হাইফেড, ভলিউম ফেড, ট্যাপার ফেড ইত্যাদি।
"