reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ নভেম্বর, ২০১৭

কোনো উদ্যোগ নেই মিয়ানমারের

কবে ফিরবে নিজভূমে। এ কথা জানে না ওরা। চারপাশে ঘন মেঘ। ব্ল্যাকহোলে চলে গেছে আরাকান স্বপ্নেরা। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি সু চির সরকার। নেওয়ার কোনো আলামতও দেখা যাচ্ছে না। আপাতত সংকটেরও কোনো সমাধান হবে-এমনটাও ভাবছেন না কেউ। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুকে বিতর্কিত করে তোলার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ চাইছে সংকটের একটি ন্যায্য সমাধান। মিয়ানমারের বক্তব্য, ‘তালগাছ আমার’।

এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক রাজনীতিও জটিল হয়ে উঠছে। ভারত মৌখিকভাবে বারবার বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা বললেও প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তাকে পিঠটান দিতে দেখা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম কয়েকটি দেশের সমর্থন না পাওয়ায় বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। বিশেষ করে ভারত ও রাশিয়া প্রস্তাবের পক্ষে না দাঁড়ানোয় বাংলাদেশের মানুষ যে কেবল আহতই হয়েছে তা নয়, মাত্রাতিরিক্ত কষ্টও পেয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। সার্কভুক্ত দেশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়ানোর বিষয়টিও অবাক করেছে বাংলাদেশকে। ভোটাভুটিতে এরা সবাই ভারতের মতো ভোটদানে বিরত থেকেছে। অথচ এ দেশগুলোর যেকোনো সংকটে বাংলাদেশ তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক বন্ধু সংকটই যেন রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও কঠিন করে তুলেছে। এদিকে চীন প্রথম থেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং তা অনেকটাই সরাসরি। তবে তিন মাস পেরিয়ে আসার পর নতুন করে দেশটি তিন স্তরের একটি ফর্মুলা নিয়ে সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে। শুরুতে মিয়ানমারের রাখাইনে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। যাতে সেখানে শৃঙ্খলা আর স্থিতিশীলতা ফিরে আসে এবং মানুষকে আর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে না হয়। দ্বিতীয়ত. অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে; যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ তৈরি হয়। তৃতীয়ত. সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।

চীনের দেওয়া তিন স্তরের ফর্মুলায় কোনো নতুনত্ব আছে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মিয়ানমারের আরাকান থেকে যাদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী তা শেষ করা হয়েছে। সেখানে মানুষ থাকলে তো পালানোর প্রশ্ন আসবে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধানের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কেননা, এখানে তৃতীয় পক্ষের অবস্থা ছিল, আছে এবং থাকবে-এটাই বাস্তবতা। চীন দীর্ঘসূত্রতার কথা বলে বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের কথা বলতে গিয়ে চীন দূতিয়ালির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গেয়েছে; যা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist