reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩১ মার্চ, ২০২০

নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা জরুরি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশেও ১০ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যা চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ। জরুরি কারণ ছাড়া কেউই ঘর হতে পারছে না। কিন্তু তাদের সেই সহায়-সম্বল নেই, যা দিয়ে তারা ঘরে বসে দিন কাটাবে। এদের প্রত্যেকেরই দিনে আনে দিনে খায় অবস্থা। জরুরি ভিত্তিতে তাদের খাদ্য সহায়তা দরকার। এ ছাড়া সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা শুধু নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তখন পুরো সমাজব্যবস্থাই পড়বে খাদ্যঝুঁকিতে। তাই সংকট মোকাবিলায় এখনই সরকারকে জরুরি খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোগও গ্রহণ করা যেতে পারে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের অনেকের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। বলা সঙ্গত, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন, নিম্নআয়ের ব্যক্তিদের ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচির আওতায় নিজ নিজ গ্রামে সহায়তা প্রদান, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ছয় মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে তদারকি জোরদার করতে হবে। অন্যদিকে, বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। গ্রাম-শহর-নগর সব এলাকায়ই চালানো হচ্ছে এই কার্যক্রম। বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তি উদ্যোগেও জরুরি খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৎপর হয়েছে। বিতরণের কাজে প্রশাসনের লোকদের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও শামিল হয়েছেন। যা নিঃসন্দেহে একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। তবে অতীতে আমরা দেখেছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিংবা বিত্তবানরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার সে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এনজিওগুলোরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। আমরা মনে করি, দেশের সংকটকালে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মহামারি মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা করতে হবে। এ মুহূর্তের জন্য যা নৈতিক দায়িত্ব।

আমরা আশা করি, নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তায় সরকার স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে খোলাবাজারে (ওএমএস) কার্যক্রম আরো প্রসারিত করবে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে নিম্নআয়ের মানুষ বেশি বসবাস করে যেখানে ওএমএস কার্যক্রম জোরদার করতে পারে। যাতে করে তারা কম মূল্যে সহজে নিত্যপণ্য কিনতে পারেন। আগামী দুই মাসের জন্য জরুরিভাবে এ কার্যক্রম চালু করা দরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের স্বল্প আয়ের লোকজনের জন্য এ মুহূর্তে কীভাবে সম্পূরক আয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সক্রিয় সহযোগিতা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করবে। আর এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close