reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ মার্চ, ২০২০

মানবিক বোধ জাগ্রত হোক

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে অসংখ্য মানুষ কোনো না কোনোভাবে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। একই চিত্র বাংলাদেশেও। এদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে নিম্নআয়ের মানুষরা, যারা দিন আনে দিন খায়। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই সংকটে দেশের ধনী ও বিত্তবানদের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে দরিদ্র্য জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এ সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত।

বলা সঙ্গত, মানবসভ্যতা আজ এক সংকটের মুখোমুখি। সারা বিশ্ব প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত। প্রতিদিন শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। পরম করুণাময়ের অসীম কৃপায় বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিবিড়ভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন এবং সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জনগণকে রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছেন।

আমাদের দেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীন বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এ অবস্থায় দেশের প্রত্যেকটি মানুষ সচেতন না হলে এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠতে পারে। মানুষ করোনাভাইরাসের কারণে জারি করা বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছেন। কোথাও কোথাও অফিস করতে হচ্ছে বাড়ি থেকে। কোথাও আবার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে যানবাহনে, রাশ পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনব্যবস্থায়। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক এই পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই বলেই আমরা মনে করি। সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাস নিয়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা আমলে নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। যেভাবেই হোক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যা এ মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ থামাতে সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জারি থাকুক। একই সঙ্গে এটাও আমলে নেওয়া দরকার, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হতে যাচ্ছে, তা এক দশক আগের মন্দার চেয়েও ভয়াবহ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। ফলে এই বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হবে বিশ্ব নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্টদের। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করণীয় নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করি, এই সংকট মোকাবিলায় সব ধরনের মতভেদ ভুলে মানুষে মানুষে তৈরি হবে মৈত্রীর বন্ধন। জাগ্রত হবে মানবিক বোধ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close