রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

পর্যবেক্ষণ

সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী ক্রমেই আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ১০ বছর ধরে সমৃদ্ধি বজায় রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর সুফলও পাচ্ছে দেশের মানুষ। এখন আর কোনো মানুষ না খেয়ে থাকে না। খাদ্য ঘাটতির ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন খাদ্যশস্যে উপচে পড়ছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে এসে অভাবনীয় সাফল্য। মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে। প্রায় ঘরে ঘরেই পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে ‘বলিষ্ঠ অগ্রগতি’ অর্জন করেছে। মাইলফলক অর্জন এসেছে নারী-পুরুষ সমতা এবং বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তির ক্ষেত্রে। জলবায়ু অভিযোজনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বাংলাদেশ এখন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারকারী হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি)-এর কাছ থেকে ২০১০ সাল হতে বাংলাদেশ ঋণমানের একই রেটিং পেয়ে আসছে। গত ১০ বছরে পৃথিবীর অর্থনীতিতে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে, তাতে বিশ্বের মধ্যে আমরা এক নম্বরে। এটি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থনীতির এই ভিত করে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের আজকের যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এর পেছনে আমাদের অনেক ঋণ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের ঋণের পরিমাণ বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম। আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মহলে প্রায়ই ‘উন্নয়নের বিস্ময়’ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫ দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হতে পারে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এডিবি তাদের আভাসে আরো বলছে, বাংলাদেশ ২০১৯ ও ২০ অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে, যা হবে একটি নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশ এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারা শক্তিশালী। বাংলাদেশ বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের নিচে রাখতে পেরেছে। দেশে উৎপাদন ও অবকাঠামো নির্মাণের হার বেড়েছে। একই সঙ্গে ভোক্তা ও রফতানি বেড়েছে। আবার বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ কৃষি উৎপাদনে অগ্রগতি দেখিয়েছে।

এসব কারণে বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না থাকার পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির আকার দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বের দ্রুত বেড়ে ওঠা অর্থনীতির শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতি ও রফতানিনির্ভর শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির কারণে এ অর্জন করেছে। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ হতে হবে। প্রয়োজনীয় জনবল থাকতে হবে এবং আর্থিক খাত, ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ ও অবকাঠামো শূন্যতা পূরণের মতো খাতগুলো সংস্কার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কয়েক বছর ধরেই এ সূচকের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। সরকার চাইছে, এ সূচক ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনতে। এ প্রচেষ্টার সুফলও পাওয়া যাচ্ছে বেশ। বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচকে উন্নতির তালিকায় সেরা ২০ দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলস্বরূপ এ স্বীকৃতি মিলেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে সেরা ব্যবসাবান্ধব দেশের মূল তালিকা। এর আগেই এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে যাওয়া ২০ দেশের নাম প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি। বিশ্ব ব্যাংকের ওয়েবসাইটে নামের আদ্যাক্ষর অনুসারে প্রকাশিত দেশগুলোর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ ও ঋণপ্রাপ্তির দিক থেকেও বাধা কমেছে। দেশে নতুন কোম্পানি নিবন্ধনে খরচ কমেছে। ডিজিটাল সনদ পেতে কোনো ফি দিতে হচ্ছে না। শেয়ার ক্যাপিটালের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন ফিও কমানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ পেতে জামানত কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। এ খাতের জনবল বৃদ্ধি ও ডিজিটালকরণে বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশ ঋণ তথ্য ব্যুরোর (সিআইবি) কার্যক্রমের আওতা বেড়েছে। সেখানে এখন যেকোনো পরিমাণের ঋণের পাঁচ বছরের তথ্য সহজেই পাওয়া যায়। ব্যবসা সহজীকরণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্র হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত বছরই ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা এ দেশে লগ্নি করেছেন বিদেশিরা।

নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এর একটা সুফল পাওয়া যাবে শিগগিরই। কয়েকটি সূত্র জানায়, দিন কয়েক আগে জাপানের অন্তত ৮০ জন নামকরা শিল্পপতির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশি নীতিনির্ধারকদের। দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ থাকার কারণে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জোরালো প্রবৃদ্ধি ও বিপুল উন্নয়ন চাহিদার কল্যাণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের মতোই ‘স্থিতিশীল’ থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা এসঅ্যান্ডপি। বাংলাদেশের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে বিবি-ও স্বল্পমেয়াদে ‘বি’ বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক সেবাদাতা সংস্থাটি। দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্য হ্রাসকারী দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২১ শতাংশ এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৪ শতাংশ হতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকে পেছনে ফেলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। মূলত প্রতিবন্ধী, অটিজম ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত করার কারণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে এ ধরনের প্রায় ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ব্যক্তি নিয়মিত সরকারি ভাতা পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এখন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সুবিধা পাচ্ছে প্রায় ৮৯ লাখ মানুষ। এজন্য বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ এবং জিডিপি ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। মূলত এই কর্মসূচিই দারিদ্র্য নিরসন ও বৈষম্য হ্রাসে বিরাট সহায়তা করছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার টন। চাল উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার টন। ফলে দানাদার খাদ্যেও দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার অবস্থাকে আরো সুসংহত করেছে। সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশের সাফল্য অভূতপূর্ব। এসব সূচকে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই শুধু দক্ষিণ এশিয়াই নয়, প্রতিবেশী ভারতের চেয়েও অনেক এগিয়ে গেছে।

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মূলনীতিকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। অথচ ২০০৯ সালে দেশের মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেত। ওই সময় দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট। অথচ এর বিপরীতে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ বিদ্যমান বিতরণ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্তের দেশ। বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য এসেছে সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। সরকারের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তথ্যমতে, বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে ৬০ লাখের বেশি গৃহস্থালিতে ইতোমধ্যেই সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট বিদ্যুতের ১ দশমিক ৫ শতাংশ আসছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জ্বালানি কর্মসূচিতে সফল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলছে, বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সফল নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্মসূচি।

বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সমাজের অনগ্রসর ও অরক্ষিত অংশের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে। অর্থ, খাদ্য, কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণ, সঞ্চয় ও সমবায়ের মাধ্যমে এই সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন করে এগিয়ে চলা শুরু হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে বলেই দেশের অর্থনীতিতে এত রমরমা অবস্থা। এখন আর কোনো মানুষ না খেয়ে থাকে না। গড় আয়ুও বেড়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে সম্মিলিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মহলে প্রায়ই ‘উন্নয়নের বিস্ময়’ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস, সততা ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায়। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ২৬তম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে। আর আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে উন্নীত হবে, এমন গতিশীলতা আসবে; যার ওপর ভিত্তি করে আমরা উন্নত হব। একসময় বলা হতো, বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বাংলাদেশ নামের দেশটি কখনো অর্থনীতিতে এগোতে পারবে না। এক দিন বাংলাদেশকে নিয়ে যারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন, ব্যঙ্গ করে কথা বলতেন; তারাই আজ বলছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশে ২১ শতাংশ দারিদ্র্য থাকলেও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের দারিদ্র্যসীমা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে। তখন কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ২০ দেশের একটি হবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close