প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

  ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন

একজন মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার পুত্র ব্যারিস্টার নওফেল

চট্টগ্রাম তথা দেশের অবিসংবাদিত বরেণ্য ও নন্দিত নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনার পরীক্ষিত নির্ভীক রাজনীতিক, চট্টলাবীর প্রয়াতঃ আলহাজ¦ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুযোগ্যপুত্র ব্যারিস্টার নওফেল আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৯ আসনে জাতির জনকের সুযোগ্য তনয়া বিশে^র মহীয়সী নেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এ মাসের ৩০ তারিখ ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছেন। তারুণ্যের অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ ও মেধা-প্রজ্ঞার অনবদ্য প্রতীক ব্যারিস্টার নওফেল-এর শুভ কামনায় এই ক্ষুদ্র নিবন্ধের বিনীত উপস্থাপন।

আমরা সকলে অবগত আছি যে, অকুতোভয় মানবযোদ্ধা মহিউদ্দিন ভাই বাংলার মাটি ও মানুষকে কীভাবে অকৃত্রিম ভালোবেসে ছাত্রজীবন থেকে পরিপূর্ণ একজন রাজনীতিক, বরেণ্য-জননন্দিত, গণমানুষের একনিষ্ঠ প্রিয় নেতা ও বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় নিজেকে সমৃদ্ধ শুধু করেননি, পুরো চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশকে সে আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটাতে নিরলস ত্যাগ-তিতীক্ষার মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন অতিবাহিত করেছেন। ১৯৭৫ এর নৃশংস রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সকল রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে নানাবিধ ঝুঁকির মুখোমুখি হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং পরাজিত ঘাতকদের বিরুদ্ধে অসীম সাহসিকতায় পুরো চট্টগ্রামকে করেছেন উজ্জীবিত।

১৯৮১ সালে জাতির জনকের কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে মহিউদ্দিন ভাইয়েরও জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু। শুধু মেয়র নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়া নয়, জাতির জনকের আদর্শিক চেতনায় শাণিত এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এবং পরামর্শে কঠিন সময়ে সাংগঠনিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে দলকে করেছেন সুসংগঠিত-সুসংহত। তিন তিনবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে চট্টগ্রামের সকল ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য তাঁর সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের উৎকৃষ্ট পরিচায়ক।

তার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় এবং আদর্শিক কর্মযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ‘৭০ এর নির্বাচনের আগেই। তখন আমি চট্টগ্রামস্থ লাভলেইন আবেদীন কলোনীতে বসবাস করতাম। আমার বাসার সামনেই ছিল আবেদীন প্রেস। সে প্রেসের ম্যানেজার ছিলেন মহিউদ্দিন ভাইয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বন্ধু কবি হেনা ইসলাম। সে সুবাদে প্রেসে লিফলেট, পুস্তিকা, সাময়িকীসহ দলের এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জাতির জনকের সকল ভাষণ-বক্তব্যের নানাবিধ প্রচার ও প্রসারে যে গুরুদায়িত্ব মহিউদ্দিন ভাই নিয়েছিলেন, যার মূল মুদ্রণ কেন্দ্র ছিল আবেদীন প্রেস। সেখানে মহিউদ্দিন ভাইয়ের সাথে আমার রাজনৈতিক, সামাজিক ও আদর্শিক সম্পর্ক। নির্বাচনের আগে সঠিক দিন-তারিখ স্মরণ না থাকলেও ঢাকার পল্টনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের জনসভা ছিল।

চারপৃষ্ঠার একটি বুলেটিন ছাপিয়ে দ্রুত তা ঢাকায় নিয়ে সভায় প্রচারের জন্য তখনকার দিনের ১২ টায় গ্রীণএরো ট্রেন ধরার জন্য লাভলেইন থেকে দ্রুত পায়ে হেটে দৌঁড়াচ্ছিলেন মহিউদ্দিন ভাই। হাতে সময় কম ছিল বলে স্টেশন পর্যন্ত রিক্সা নিতে বললে তিনি বললেন পকেটে কোন টাকা পয়সা নাই। তিনি ট্রেন ধরার জন্য দৌঁড়াচ্ছেন। আমি তখন দশম শ্রেণির ছাত্র এবং এসএসসি ফলাফলের জন্য অপেক্ষারত। আমার পকেটে মা থেকে পাওয়া ১০ টাকা ছিল। সেটা আমি মহিউদ্দিন ভাইকে দিতে চেয়েছিলাম। এ কথা বলার সাথে সাথে মহিউদ্দিন ভাই আমার পিঠে তাঁর হাতের আদরের ছোঁয়া দিয়ে বললেন আপনার টাকা আমার নেওয়া ঠিক হবে না। আমি দৌঁড়াতে অভ্যস্ত এবং ঠিক সময়ে স্টেশনে পৌঁছে যাব। প্রেস থেকে বেরিয়ে আমি দেখছিলাম কিভাবে তিনি দৌঁড়ে যাচ্ছিলেন। মহিউদ্দিন ভাই দৌঁড়ের শুরুতে তাঁর স্পঞ্জ সেন্ডেলের বোতাম খুলে গেলে সময় ছিল না বলে দুটো সেন্ডেল একসাথে ড্রেনে ফেলে খালি পায়ে দৌঁড়াতে লাগলেন। আমি অতি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম কী করে একজন মানুষ এতো মানসিক শক্তি নিয়ে দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে মহিউদ্দিন ভাইয়ের প্রয়াত হওয়ার দিন পর্যন্ত এতো বেশি দৃশ্যমান কর্মযজ্ঞের হৃদয় বিদারক ও মনোবেদনার বিপুল স্মৃতি যা আমার প্রকাশিতব্য বইয়ে উপস্থাপন করার প্রত্যাশা রয়েছে।

‘৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় পরবর্তীতে মুসলিম হলে হাসপাতাল পরিচালনা, একুশে মেলার আয়োজন, বিজয় মেলা আয়োজন, মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ, মেয়র নির্বাচনের জন্য নাগরিক কমিটি গঠন ও প্রচার অভিযান পরিচালনা, জাপানের কোবে সিটির সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং সোনার চাবিসহ সংবর্ধনা গ্রহণ, চারবার পবিত্র হজ¦ব্রত পালন, ৩০ এপ্রিল ডেটলাইন মোকাবেলা, তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় উনার সাথে ‘জনসংখ্যা জরিপ’ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মামলার আসামী হওয়া এবং ন্যুনতম কিছু প্রমান না পাওয়ার কারণে সে সময়ে দায়মুক্ত হওয়া, নিগৃহীত পরিচ্ছন্ন কর্মী যারা মেথর হিসেবে পরিচিত ছিল তাদের নিয়ে গবেষণা এবং তাদেরকে সেবক নামে মর্যাদাসীন করা, প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন এবং এসএসএ-এর বিরুদ্ধে আদালতে জয়লাভ তথা বন্দর/চট্টগ্রামকে রক্ষা করা, ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মশালাসহ বিপুল সংখ্যক কঠিন এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে কাজগুলো করেছিলাম সবকিছুর পিছনে মূল প্রণোদনা ছিল মহিউদ্দিন ভাইয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা, অনুপ্রেরণা এবং সাহসী পদক্ষেপ।

২৭ বছর ধরে মহিউদ্দিন ভাই ডিসেম্বরের প্রথমদিন বিজয় মেলা উদ্বোধন করে আসছিলেন। বিগত বছর উনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজয় মেলা পরিষদের সম্মানিত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুসকে বললেন আমি যেন তাঁর পরিবর্তে বিজয় মেলা উদ্বোধন করি। মহিউদ্দিন ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে তাঁর পরিবর্তে ১ ডিসেম্বর ২০১৭ বিজয় মেলা উদ্বোধন আমার জীবনে অত্যন্ত উঁচুমার্গের অর্জন। নির্দেশ ছিল ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় আমাকে প্রধান অতিথি থাকতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মসূচি শেষে সেদিন দুপুরে তাঁর বাসায় গিয়ে শুনলাম তিনি চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

দ্রুততার সাথে সেখানে গিয়ে আইসিইউতে ঢুকে তাঁর রক্তচাপ দ্রুততার সাথে কমে যাওয়ার বিষয়টি অবলোকন করে হাত ধরে বিনীত অনুরোধ করলাম কিছু খাওয়ার জন্য। আমাকে বার বার বলছিলেন খেতে ইচ্ছে করছে না, খেতে পারছেন না। হাত ধরে নিরবে কাঁদছেন এবং গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম চোখের জল। দু’জনের নিরব কান্নাকাটিতে একসময় মহিউদ্দিন ভাইয়ের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকা হাসপাতালের সে দুজন নার্স তাঁর রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তারা আমাকে ইশারা করেছিলেন যেন আমি সরে পড়ি।

যেহেতু মহিউদ্দিন ভাই আমার হাত ছাড়ছিলেন না, কেবলই কাঁদছিলেন এবং মাঝে মাঝে হাত তুলে কাঁপা কন্ঠে বললেন “দোয়া করবেন, আপনার দোয়া কাজে লাগবে”। যখন বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছিল এবং নোঙ্গরের মতো মাটি ভেদ করে উনার হাত থেকে হাত সরিয়ে নিতে হচ্ছিল দুজনেই দুজনের চোখাচোখি এবং চোখের জলে বিদায় সেটি ছিল তাঁর সাথে আমার শেষ দেখা। সম্ভবত চেনা-জানা সকলের মধ্যে আমার সাথেই তাঁর এটি শেষ বাক্য বিনিময়। সেদিন বিকেলে বিজয় মঞ্চে গিয়ে ইউনুসের কাছ থেকে শুনতে পেলাম মহিউদ্দিন ভাইয়ের জন্য মেডিকেল বোর্ড বসছে। আমি মঞ্চ ত্যাগের কথা চিন্তা করলে ইউনুস বললেন উনার নির্দেশ ছিল যে কোন পরিস্থিতিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার। ইউনুস কর্মসূচি শুরু করলেন। শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার অনুষ্ঠানে আমাকে কখনো প্রধান অতিথি ও কখনো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে হয়েছিল। তাছাড়া মহানগর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে মহিউদ্দিন ভাইয়ের নির্দেশে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিতে হতো। মহিউদ্দিন ভাই আামকে এতো বেশি ¯েœহ করতেন কী রাজনৈতিক, কী সামাজিক সকল অনুষ্ঠানে ফোন করে আদরমাখা দুষ্টুমীর সাথে আমন্ত্রন জানাতেন। যা আমি কখনো অবজ্ঞা বা ‘না’ করতে পারতাম না।

মহিউদ্দিন ভাই সিংগাপুর থেকে দেশে ফিরে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আমি ফুলের তোড়া নিয়ে সেখানে উপস্থিত হই। স্কয়ার হাসপাতালে কাউকে ফুলের তোড়া নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। আমি বিশেষ অনুমতি নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমৎকার একটি ফুলের তোড়া নিয়ে উনার বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। উনি তখন ঘুমের ঘোরে ছিলেন। হঠাৎ চোখ খুলতেই আমাকে দেখে আবেগ জড়ানো কন্ঠে বলে উঠলেন ‘ও হুজুর অনে কত্তে আইস্যুন’ এবং ফুলের তোড়া দেখে এতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন এবং মেয়েকে চিৎকার করে বললেন ছবি নিতে।

আমার ব্যক্তিগত সহকারী আগেই ছবি তুলতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি না করাতেই সে ছবি তুলেনি। কিন্তু মহিউদ্দিন ভাইয়ের আগ্রহে আমি ছবি তুললাম এবং বললাম আপনি না হাসলে ছবি পরিপূর্ণ হবে না। মহিউদ্দিন ভাই এমন বিস্ময়কর আনন্দের হাসি দিলেন এরকম হাসি আমি মহিউদ্দিন ভাইয়ের মুখে আর কখনও দেখিনি। আরও অনেক কিছু বলার আছে, বলার থাকবে যা ভবিষ্যতে বলবো।

তবে এ মুহুর্তে যে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো উত্থাপন করলাম তা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা মহিউদ্দিন ভাইয়ের স্মৃতিকে চিরঞ্জীব এবং চির জাগরুক রাখার জন্য তাঁর সন্তান ব্যারিস্টার নওফেলকে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে একটি উঁচু অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করলেন। চট্টগ্রামবাসীর সন্তান নওফেল সে চট্টলবীরের সন্তান হিসেবে তাঁর যোগ্যতা, মেধা, প্রজ্ঞা, যুক্তি উপস্থাপন, দলীয়-বঙ্গবন্ধু-নেত্রীর আদর্শ উপস্থাপন এবং বিগত ১০ বছরের ঈর্ষণীয় অর্জনগুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অতি সূচারূ এবং নান্দনিক বাগ্নিতার সাথে তুলে ধরতে পেরেছেন তা অসাধারণ।

জননেত্রী শেখ হাসিনা মহিউদ্দিন ভাইকে সম্মানিত করার লক্ষ্যেই তাঁর সুযোগ্য সন্তানকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করলেন। চট্টগ্রামে একটি বিষয় বহুকাল থেকে প্রচলিত যে, চট্টগ্রামবাসীর প্রিয় সন্তান আমাদের নওফেল যে আসনে নির্বাচন করছেন, সে আসনে যে দল নির্বাচিত হয় সে দলই সরকার গঠন করে। ব্যারিস্টার নওফেল অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে তারুণ্যের উদ্দীপ্ত উচ্ছা¦স এবং জ্ঞান-গরিমায়, যেভাবে মানুষের হৃদয় জয় করতে পেরেছেন তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন নির্বাচনে তাঁকে তাঁর পিতার মতো বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মানবতার জননী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পুনরায় অধিষ্ঠিত করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

লেখক : শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close