reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ মে, ২০১৮

শান্তিনিকেতনে শান্তির দূত

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কলাচর্চার পীঠস্থান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন। এখানেই স্থাপিত হলো বাংলাদেশ ভবন। উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বকবি বেঁচে থাকতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চীনা ও হিন্দি ভবন। এবার যুক্ত হলো বাংলাদেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা এই সফরে তার সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করলেন। অনুষ্ঠানে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক আজকের নয়। এ সম্পর্ক নাড়ীর। শুধু রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেই নয়, ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক বহুকালের। সম্পর্ক পশ্চিম বাংলা, তথা ভারতীয় জনসমষ্টির সংস্কৃতির সঙ্গে এবং তা সহর বছরের। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অবদান আমরা ভুলতে পারি না। সে সময় এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। স্বাধীনতার পর মুজিব-ইন্দিরা স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়েছে। ভারতের সকলেই দল-মত নির্বিশেষে এক হয়ে বিলটি পাস করেছেন। আমরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ছিটমহল বিনিময় করেছি। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা একইভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সমাধান করতে পারব।

বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুটি পৃথক রাষ্ট্র হলেও স্বার্থের প্রশ্নে অনেকটা অভিন্ন। এই দুই রাষ্ট্রের স্বার্থগত সংযোগও নতুন নয়; দেশটির মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু। এখনো যা একই ধারায় অব্যাহত। তিনি আরো বলেছেন, দুটি আলাদা দেশ হলেও সরকারি নীতির দিক দিয়েই হোক আর সাংস্কৃতির দিক থেকে হোক আমরা পরস্পরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিক্ষা লাভ করি। শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই পথে চলার প্রশ্নে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

এ সময় পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মতো। এ সম্পর্ক কখনোই ভাঙবার নয়; অনেকদূর গড়াবে। আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভবনটি উদ্বোধন করলেন, ভবনটি একসময় তীর্থস্থানে পরিণত হবে। দুই দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ করতে বিশ্বভারতী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু ভবনও করতে চাই।

একই সঙ্গে আমরাও বলতে চাই, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং মুক্তিযুদ্ধের পরীক্ষিত সাথী। সম্পর্ক বহুমুখী ও বহুকালের। আমরা এ সম্পর্ককে আরো ঘনীভূত করতে আগ্রহী। আমাদের এই আগ্রহ যদি ভারত তার আগ্রহের সঙ্গে সমান্তরালে চলার মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে; তাহলে এই দুই রাষ্ট্রের মাঝে কোনো সমস্যাই সমস্যা হিসেবে শিকড় বিস্তারের সুযোগ পাবে না। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist