স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা
যদি কোনো ‘বিভাসুর’ সমুদ্র মন্থন করে অমৃতের সন্ধান চায়, দুলে ওঠে মধ্য সাগর, ভেসে যায় হিরোশিমার প্রতিটি সড়ক, যদি সেই নগরীর প্রতিটি মানুষ শব্দের ভায়োলিনে কোরাসে সেøাগান তোলে-‘অতঃপর...অতঃপর...অতঃপর...! আজন্ম বিশ্বাসে বলব, কবিতাকে... কবিতাকে... কবিতাকে...। প্রতিটি চরণ যেন হৃদয় নিংড়ানো নির্যাস ভালোবাসা-‘হে আমার স্বাধীনতা’!
আজ ২৬ মার্চ। যার প্রতিটি চরণে জড়ানো রয়েছে এক সাগর রক্ত আর স্বপ্নময় ভালোবাসা। দিনটি কারো অনুদান থেকে পাওয়া নয়। অনেক রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়েই আমাদের অর্জন। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমরা পেয়েছি অনেক। না পাওয়ার পাল্লাটাও কম নয়। অর্ধ শতক বছরে আমাদের মেধা ও শ্রমের বিপরীতে আমরা পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। বিপরীতে চলছে চরম অর্থসংকট। এ দুই বিপরীতমুখী অবস্থানে দেশ এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক ঝুঁকিকে মারাত্মক করে তুলেছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
বর্তমান বাস্তবতায় বারবার সামনে চলে আসছে দেশের ব্যাংকগুলোয় বিদ্যমান অর্থসংকট। কয়েক মাস ধরে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের অব্যবস্থাপনা, অর্থসংকট, অর্থপাচার ও লুটপাটের বিভিন্ন চিত্র আমাদের মনে নানা শঙ্কা তৈরি করেছে। ব্যাংকগুলোয় টাকা না থাকার কারণে আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। নতুন করে ঋণ দেওয়া বন্ধ দেওয়া হয়েছে। এক কথায় আজ এ মুহূর্তে দেশের মানুকে যে ধরনের ভালো থাকার কথাÑতারা সে রকমটা নেই। বিশ্লেষকরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ব্যাংকের টাকা লুটপাট, রিজার্ভ চুরি, বিশেষ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে দেশের অনেক ব্যাংকের মালিকানা চলে যাওয়ার কারণেও ব্যাংকিং খাতে এ ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকের সঙ্গে আমানতকারী, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ বড় ধরনের সংকটে
পড়তে পারে।
একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়ে এ বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আজকের এই দিনে নতুন করে ভেবে দেখার সময় এসেছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর মেধা ও মননে গড়া এ দেশকে
কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা মনে করি, নতুন করে শপথ নেওয়ার সময় এসেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে একযোগে
সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে এবং তা আজই। ২৬ মার্চ, সূর্যোদয়ের প্রথম প্রহরেই।
"