reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

নানা আয়োজনে হাবিপ্রবিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত

‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, পুষ্টিকর খাদ্যই হবে আকাক্সিক্ষত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সেমিনার ও দুই দিনব্যাপী ফুড এক্সিবিশনের আয়োজন

করা হয়।

১৬ অক্টোবর বুধবার বিশ্ববিদ্যালটির প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের

আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ

শেষে টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী ও হাবিপ্রবির

উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম। র‌্যালি শেষে আয়োজিত ফুড এক্সিবিশনে ফুড অ্যান্ড প্রসেস

ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের

উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যবহার করে তৈরিকৃত খাদ্যসামগ্রীসমূহ ঘুরে দেখেন অতিথিরা।

পরে সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক ড. ফেরদোউস জামান, হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ফজলুল হক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী বলেন, ‘দেশে যখন মাত্র ৭ কোটি জনসংখ্যা ছিল তখনো খাদ্য ঘাটতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি তার পরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা আমাদের দেশের জন্য বিশাল অর্জন।’ বর্তমান সরকার ও কৃষিনির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদানে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম বলেন, ‘হাবিপ্রবি এখন কোনো দিকেই পিছিয়ে নেই। নিত্যনতুন গবেষণা ও যন্ত্র উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে।’ ফুড এক্সিবিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে যে খাবারগুলো তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত উন্নত মানের ও পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ। মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এগুলো বাজারজাত করার উদ্যোগ নিলে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে। কারণ এখন দেশের বেশির ভাগ মানুষ ভেজাল খাদ্যের জন্য জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাসহ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close