জাপানের সঙ্গে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের চুক্তি
শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটাতে, একই সঙ্গে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নতুন নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ঢাকার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাপানের হিতোতসুবাসি ইউনিভার্সিটির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে। ‘ইনোভেশন ল্যাব এবং একচেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এর ওপর এই চুক্তির মধ্য দিয়ে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকম-লী স্কিল ডেভেলপমেন্টে জাপানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন আইটি ট্রেনিং ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণায় সুযোগ পাবে। পাশাপাশি জাপানের শিক্ষার্থীও বাংলাদেশের কালচার ও বিভিন্ন বিষয়ে স্টাডি করবে এবং প্রতিষ্ঠানটিতে একটি ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হবে। চুক্তিটিতে স্বাক্ষরিত করেন সিইচিরো ওনেকুরা ফেসর ইনস্টিটিউশন অব ইনোভেশন রিসার্চ, হিতোতসুবাসি ইউনিভার্সিটি জাপান এবং সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাপানের একটি প্রতিনিধিদল এবং দুদেশের কো-অর্ডিনেটর ব্যাকবন লিমিটেডের সিইও মাহিন মতিন। ইনোভেশন ল্যাব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রফেসর সিইচিরো ওনেকুরার সহযোগিতায় দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা অভাবনীয় বিস্ময় সৃষ্টি করতে পারব। সিইচিরো ওনেকুরা বলেন, এ দেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা অনেক প্রতিভাসম্পন্ন। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দুদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইডিয়া ও ইনোভেশন আদান-প্রদানের একটি সুযোগ হলো। আশা করি তরুণ শিক্ষার্থী এই প্ল্যাটফরমটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্ঞান অর্জনের আরো বেশি সুযোগ পাবে। উল্লেখ্য, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজটিতে প্রায় পনেরো হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এক একর জমির ওপর সুবিশাল ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কাউটিং, ডিবেটিং, সায়েন্স ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবস বিভিন্নসহ শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। ২০১৭ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৮ জন স্কাউট বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ পদক প্রেসিডেন্টস স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"