আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২০

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত ৪০

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবারের এ হামলায় সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর পশ্চিমে কফার তাল গ্রামে ছয়টি শিশুসহ আটজনের এক পরিবারের সবাই নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি ইদলিব প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বে মারদাবেশে আরো ৯ বেসামরিক নিহত হয়েছে।

সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী বড় ধরনের একটি অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে ইরানের মিলিশিয়া বাহিনীগুলোও তাদের সঙ্গে আছে। এর সঙ্গে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা যোগ হওয়ায় ওই এলাকা থেকে হাজার হাজার লোক তুরস্কের সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

কফার তালে নিহত পরিবারটির এক স্বজনের আহাজারির ভয়েস রেকর্ড রয়টার্সের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাতে আবু ইয়াসের নামে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধকে বলতে শোনা গেছে, খোদা সব জালেমের ওপর প্রতিশোধ নেবে। আমার পরিবারের আর কেউ রইল না, সবাই চলে গেল।

ইদলিবের গ্রামাঞ্চলে বিদ্রোহীদের অবস্থানগুলোর ওপর রাশিয়া ও সিরিয়ার যুদ্ধবিমানের অপরাপর হামলায় আরো অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিসেম্বরে ইদলিবে আশ্রয় নেওয়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এ অভিযানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও ইরানের মিলিশিয়া বাহিনীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বিমান হামলার পাশাপাশি রাশিয়া স্থলেও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে। সম্মিলিত অভিযানে এসব বাহিনী বিদ্রোহী অধিকৃত এলাকার অনেক ভেতরে ঢুকে পড়েছে আর এতে ওই এলাকার অনেক ছোট ছোট শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, হাসপাতাল ও স্কুলও রক্ষা পায়নি বলে জানিয়েছে উদ্ধারকর্মী ও ত্রাণ সংস্থাগুলো।

অপরদিকে বেসামরিকদের ওপর নির্বিচার বিমান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো ও দামেস্ক। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দাবি করে জঙ্গিরা আলেপ্পো শহরের বেসামরিকদের ওপর হামলা জোরদার করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, আলেপ্পোর একটি আবাসিক এলাকায় সন্ত্রাসীদের রকেট হামলায় দুই নারী ও একটি শিশু নিহত হয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের বোঝাতে সন্ত্রাসী পদটি ব্যবহার করে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ৯ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আসাদ সরকার। শুধু উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব এখনো বিদ্রোহীদের দখলে রয়ে গেছে। ইদলিব অঞ্চলের অন্তত তিন লাখ ৫০ হাজার বেসামরিক বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ও সেখানে মানবিক সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে বলে চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close