আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ মে, ২০১৯

জলবায়ু পরিবর্তনই সন্তান না নেওয়ার কারণ যাদের

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব নারী ও তরুণ-তরুণী সন্তান না নেওয়ার আন্দোলেন শুরু করেছেন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের বাসিন্দা ফেরেনা ব্রুনশভাইগার। এই স্কুলশিক্ষিকা বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে দীর্ঘসময় গভীরভাবে চিন্তা করেছি। ঘটনাচক্রে জলবায়ু পরিবর্তনই আমার কাছে (সন্তান না নেওয়ার) প্রধান কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। অবশ্য আমি অনেক সংগ্রাম করেছি এটা নিয়ে। কারণ, আমরা শিশুদের ভালোবাসি। আমার স্বামীও একজন স্কুলশিক্ষক। বোধ করি, আমরা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।

এভাবে পৃথিবীব্যাপী তরুণ সমাজের একটা অংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। সর্বোপরি, বিশ্বব্যাপী বন্যা, খরা ও ঝড় থেকে শুরু করে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য চিন্তায় ফেলছে তাদের।

বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে অভূতপূর্ব কোনো পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের আরো শত শত মিলিয়ন মানুষ বিপদের সম্মুখীন হবে। কম সন্তান নেওয়া, বিমানে কম চড়া এবং উদ্ভিদজাতীয় খাবার খেয়ে উন্নত বিশ্বের মানুষ ব্যক্তিগতভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পারেন বলে বিজ্ঞানীদের ভাষ্য।

স্কুলশিক্ষিকা ব্রুনশভাইগারের মতো অন্যরাও মনে করেন, এমতাবস্থায় পৃথিবীর জনসংখ্যা আর বাড়ানো এক ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। কারণ, ২০১৭ সালের ৭৬০ কোটি থেকে ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০০ কোটি হতে চলেছে, যা কার্বন নিঃসরণ ও সম্পদের সমস্যা বাড়ানোর বড় কারণ হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close