আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৭ অক্টোবর, ২০১৮

সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পাচ্ছেন বিতর্কিত কাভানাহ

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্প মনোনীত ব্রেট কাভানাহকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে কংগ্রেস। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠা এই বিচারপতির নিয়োগ চূড়ান্ত করতে শনিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে শুক্রবার কাভানাহকে দুই গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর সমর্থন দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর জোয়ে ম্যানকিনের সমর্থন পাওয়ায় যৌন নিপীড়নে বিতর্কিত হয়ে পড়া এই কাভানাহর নিয়োগ এখন সময়ের ব্যাপার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রেট কাভানাহর নিয়োগ বাতিল করার দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে ওঠার মধ্যেই তার নিয়োগ সম্ভাব্য চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানা গেল। কাভানাহর বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের তদন্তে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রিপাবলিকানরা দাবি করার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করে লাখো মানুষ। সেখান থেকে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও আটজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত। প্রেসিডেন্ট মনোনীত বিচারপতিদের নিয়োগ দেয় সিনেট। একবার নিয়োগ পাওয়ার পর পদত্যাগ, অবসর বা অভিশংসন ছাড়া ওই বিচারপতিরা আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ বছর বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। গত জুলাইয়ে ব্রেট কাভানাহকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেন ট্রাম্প। কাভানাহর বিরুদ্ধে প্রফেসর ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ডসহ তিনজন নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে এফবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। শুরু থেকে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাঁচ দিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এফবিআই। জনসমক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হলেও ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে কাভানাহকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জানা গেছে মার্কিন কংগ্রেসে ৫১-৪৯ ভোটে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কাভানাহ।

চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে থাকার কথা বলার পরও রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স জানিয়েছেন কাভানাহর নিয়োগের পক্ষেই ভোট দেবেন তিনি। সহকর্মী সিনেটরদের তিনি জানিয়ে দেন বিচারপতি কাভানাহকে সুপ্রিম কোর্টের কাজে আটকাতে আনা অভিযোগগুলোতে বিশ্বাস করেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘যেসব তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে তাতে প্রমাণ হয় না যে সেই রাতে বা অন্য কোনো সময়ে প্রফেসর ফোর্ড যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। তবে সেগুলো আমাকে এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য করেছে যে অভিযোগগুলো যথাযথ মান অনুসরণ করতে ব্যথ হয়েছে’।

অপরদিকে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট সদস্য মানকিন বলেন, বিচারপতি কাভানাহকে যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারক হিসেবেই দেখে থাকেন তিনি। তার ধারণা কাভানা সংবিধান অনুসরণ করে তার সামনে উপস্থাপিত মামলাগুলোর আইনি সিদ্ধান্ত দেবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close