মেহেরপুরে শাজাহান হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর শাজাহান হত্যা মামলায় গিয়াস উদ্দীন, আলম, ইলিয়াস, ভাদু, সমশের, কাজল ও শহিদুল নামের সাতজনের যাবজীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস উদ্দীন নিশিপুরের সুলতান আলীর ছেলে ও ভাদু সমশের আলাউদ্দীনের ছেলে। কাজল একই গ্রামের আলতাফের ছেলে এবং শহিদুল সোলেমানের ছেলে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সমশের পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে শাজাহান ঘটনার দিন তার ঘরে শুয়ে মোবাইল ফোনে গান শুনছিলেন। ঐ সময় জিনিয়াস স্কুলের শিক্ষক সুলতানের ছেলে গিয়াস উদ্দীন তার বাড়ি ঢুকে গান বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এদিকে ঐ দিন বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আগের ঘটনার জের ধরে গিয়ানের নেতৃত্বে তার লোকজন শাজাহানের মোটর হাউজে ঢুকে তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় শাজাহান মারাত্বক আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বামুন্দীর একটি ক্লিনিকে পরে কুষ্টিয়া সবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাজাহানের ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে গাংনী থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পিডিএসও/হেলাল