যশোর রোডের গাছ কাটার ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ
যশোর রোডে শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্তের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশের ফলে ওই সব গাছ কাটা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
যশোর রোড প্রশস্ত করার জন্য এবং ভবিষ্যতে এই সড়ক চার লেন থেকে ছয় লেন করতে গত ৬ জানুয়ারি যশোরে এক মত বিনিময় সভায় স্থানীয় তিন সংসদ সদস্য এবং প্রকৌশলীরা সড়ক উন্নয়নে দু’পাশের সব গাছ কেটে ফেলা হবে বলে জানান। পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়াতে হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসেই ঐতিহাসিক যশোর রোডের বাংলাদেশ অংশের গাছ কাটা শুরু হবে।
এর আগেও সড়ক সম্প্রসারণের প্রয়োজনে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদের মুখে বলা হয় যে গাছগুলো অক্ষত রেখেই সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৮৪০ সালে যশোর রোডের নির্মাণ কাজ শুরু করেন যশোরের তখনকার জমিদার কালি পেদ্দার। ১৮৪৪ সালে সড়ক নির্মাণ শেষ হয়। এরপর তিনি রাস্তার দু’ধারে সারি সারি রেনইট্রি গাছ লাগান ছায়ার জন্য। বাংলাদেশ অংশে তার লাগানো প্রায় ১৮০ বছর বয়সী গাছ আছে আড়াইশ’র মতো। পরে আরও গাছ লাগানো হয। সব মিলিয়ে ৩৮ কি. মি. সড়কের দু’ধারে দুই হাজারেরও বেশি গাছ রয়েছে।
পিডিএসও/তাজ